চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষে ও পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ৩ জনকে।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত শহরের চিত্রলেখা মোড়, বিপনীবাগ, নতুন বাজার পুরান বাজার লোহার পুল, ছায়াবানী মোড় এলাকায় থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বাংলানিউজকে জানায়, বিকেল ৩টার দিকে বিএনপি কর্মীরা চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের একটি মিছিল দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে বিএনপি কর্মীরা। একপর্যায়ে সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এর পরেই চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ও পুলিশের গুলিতে আহত হয় ১০ জন। পরে সেখান থেকে বিএনপি কর্মী অ্যাড. মাইনুল ইসলামসহ (৪০) ৩ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চাঁদপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবনের গেট ভাঙচুর করে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমির জাফর বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতেই পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে কি পরিমাণ গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৫