ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ইইউ প্রতিনিধি দলকে আ’লীগ

সহিংসতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
সহিংসতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না

ঢাকা: সহিংসতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না বলে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় উপ-কমিটির প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।


আওয়ামী লীগ ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, দেশে সহিংসতা চলছে, যারা এমনটা করছে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।

এক সঙ্গে এই দুটি হয় না।

বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৬ সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের এক বৈঠকে এসব কথা হয়। বৈঠক চলে বিকেল ৩টা ২০ থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

তিনি বলেন, সহিংসতা, নাশকতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না। আগে নাশকতা, সহিংসতা বন্ধ হতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছি।

গওহর রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন- নির্বাচনের সময় যখন আসবে, তখন সবার সঙ্গেই কথা বলা যাবে, আলোচনা হবে। আমরা চাই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হোক। সে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে।

৬ সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির উপ-প্রধান ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা। আর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসিম কুমার উকিল প্রমুখ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে গওহর রিজভী বলেন, তারা আমাদের কাছে যে বিষয় জানতে চেয়েছে আমরা উত্তর দিয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। নাশকতা-সহিংসতা (ভাওলেন্স) আর সংলাপ (ডায়লগ) এক না। নাশকতা ও সংলাপ একেবারেই আলাদা। নাশকতা ও সংলাপকে কোনোভাবেই এক সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। নাশকতা যেভাবেই হোক, বন্ধ করা হবে। আপনারা দেখছেন ইতোমধ্যে নাশকতা কমে এসেছে। বাকিটাও কমে যাবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরিস্কার করেই বলেছেন- যখন বির্নাচনের সময় আসবে তার আগে কথা বলা যাবে। আমরা সবাই চাই অবাধ, নিরপেক্ষপ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। সেই ধরনের অবাধ, নিরপেক্ষপ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যা দরকার, নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার বা যদি অন্য কোনো নিয়ম আনতে হয় তা নিয়ে আলাপ হবে। কিন্তু যাই আলাপ করি না কেন তা সংবিধানের মধ্যে থাকতে হবে। এর বাইরে গিয়ে আলাপ করার কোনো সুযোগ নেই। আর এসব গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে হতে হবে।

‘গণতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ জোর দিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একেবারে পরিস্কার বলে দিতে চাই- যখন পর্যন্ত নাশকতা বন্ধ হবে না, তখন এই দুইটা বিষয় এক সঙ্গে করার কথা বলাটা বড় ভুল। দেশের মানুষ শান্তি চায়। আর শান্তি না আসা পর্যন্ত অন্য কোনো কিছু করা উচিত হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫, আপডেট ১৯৩০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।