সাতক্ষীরা: যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলাসহ একাধিক মামলার আসামি ও সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছির ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটার গান ও পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। গুলিবিদ্ধ আব্দুল মুজিদ ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, রাত দেড়টার দিকে আব্দুল মজিদ কেড়াগাছির ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় তার সহযোগীদের নিয়ে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে উভয়পক্ষের মধ্য গুলিবিনিময় হয়। এতে আব্দুল মজিদ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে আটক করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে, এ ব্যাপারে শার্শা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সোমেন বিশ্বাস জানান, ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে শার্শা উপজেলার কাইবা-বাদামতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় ছাত্রদল নেতা আব্দুল মজিদ ও শিবির ক্যাডার শহিদুল ইসলাম।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একটি থ্রি-হুইলারে করে আসামিদের যশোর আদালতে আনা হচ্ছিল। এ সময় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজ এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা প্রস্রাব করবে বলে অনুরোধ জানায়। পুলিশ আসামিদের অনুরোধে গাড়ি থামালে তারা দৌড় দেয়। এ সময় পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে শার্শা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোমেন, কনস্টেবল মাহমুদুর রহমান ও রথীন্দ্রনাথকে লাইনে ক্লোজ করা হয়।
শার্শা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সোমেন বিশ্বাস বাদী হয়ে দুই আসামি পালানোর ঘটনায় একটি মামলাও করেন। পালানোর একদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন।
** যশোরে পুলিশ হেফাজতে আসামি পালানোর ঘটনায় মামলা
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫