ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশব্যাপী যে সহিংসতা চলছে তাতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জড়িত নন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধে জ্বালাও-পোড়াও ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের দেওয়া বার্তায় দেশে এসব সহিংসতা ও নাশকতা সংঘটিত হচ্ছে। এ সহিংস আন্দোলনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কেউ নেই। তারেক রহমানের নির্দেশে খালেদা জিয়াসহ জামায়াত ও বিএনপির কিছু কর্মীরা টোকাই ভাড়া করে এ সহিংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াসহ নাশকতাকারীদের হেদায়েতের জন্য বিভিন্ন মসজিদে আলেম খতিবরা প্রার্থনা করবেন। যেন তাদের আল্লাহ হেদায়েত করেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচির আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরাও মাঠে থাকবো আপনারাও মাঠে থাকবেন। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে। কিন্তু যদি সহিংস কর্মসূচি দেন তাহলে জনগণ সারা দেবে না।
২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে সহিংস কর্মসূচির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ, শিশু, শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হলেই তাদের পুড়িয়ে মারেছেন। এটা কোনো আন্দোলন নয় ।
ইসলাম কখনো নাশকতা সামর্থন করে না মন্তব্য করে খতিবদের প্রতি প্রত্যেক জুমআর নামাজে মসজিদে এ সহিংসতার কুফল বর্ননা করার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, দফতর সম্পাদক মুফতি সালমান ফরিদি, মাওলানা রুহুল আমিন খান প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫