ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ২০ দলীয় জোটের কুশপুতুল পোড়ানোসহ শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
এ সময় নাশকতা ও সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা।
দেশব্যাপী নাশকতা, সহিংসতা এবং পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারার প্রতিবাদে এ সব কর্মসূচি পালন করা হয়।
শুক্রবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ সব কর্মসূচিতে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ এবং চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার না হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও হুমকি দেন বক্তারা।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে শুরু হয়, মানববন্ধন ও ওলামা সমাবেশ। এ সময় আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসেন অবরোধ ও হরতাল বন্ধ না করলে দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাওর হুমকি দেন।
মানুষ হত্যার অভিযোগে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে গ্রেফতার ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সকাল ১১টার দিকে সহিংসতার রাজনীতি বন্ধের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, খালেদা জিয়ার কুশপুতুল দাহ ও সমাবেশ করে নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি।
এ সময় সংগঠনের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে ফোরামের প্রেসিডেন্ট কবির চৌধুরী তন্ময় পেট্রোল-বোমা মেরে মানুষ হত্যা এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য ২০ দলীয় নেতাদের দায়ী করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজনীতির নামে দেশে এ রকম অরাজকতা সাধারণ মানুষ কখনো মেনে নেবে না। তাই, দ্রুত এসব সহিংসতার কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে সাধারণ মানুষ এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ যুব মৈত্রী
‘বিএনপি জামায়াতের খুন ও নাশকতা বন্ধে’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী। বক্তারা সাধারণ মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক করে দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, গ্রীন ভয়েস নাগরিক উদ্যোগ, ডব্লিউ বিবি ট্রাস্ট, নিরাপদ ডেভেলপ ফাউন্ডেশন, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলন, স্বাধীনতা লীগের ব্যানারে সহিংসতার রাজনীতি পরিহার, মানুষ হত্যা বন্ধ, সম্পদ পরিবেশ ও চারদিকে শান্তি রক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
প্রতিটি মানববন্ধনের একই দাবি- সহিংসতার রাজনীতি নয়, দেশের কল্যাণে রাজনীতি করা হোক। সাধারণ মানুষের জীবন জিম্মি করে অপসংস্কৃতির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়।
তবে এসব কর্মসূচিতে লাউড স্পিকারের (মাইক) সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক ব্যানারে লাউড স্পিকার দেখা গেছে ১৩টি। তবে সকাল ১১টার দিকে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময়ে সব মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা গেছে। এ সময় অবশ্য প্রায় ১২ মিনিট অধিকাংশ মাইক বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫