ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

বন্দরে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫
বন্দরে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

নারায়ণগঞ্জ: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টা মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীফ হাসান চিস্তি ও বাসু মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দু’টি দায়ের করেন।



অপর দিকে কাজী জহির গ্রুপের বিরুদ্ধে আহত নিলুফা বাদী হয়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

মামলার একটিতে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ ও অপরটিতে বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ ১২ জন আহত হন। এ সময় অন্তত ২০টি যানবাহন, বন্দর ডর্ক ইয়ার্ড ও দুটি দোকানে ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করে।

আহতদের মধ্যে রাজু, রুবেল, রহিম, জাহিদ, নিলুফা, পাখি, প্রিয়শি, মিন্টু, জামান, বাসু ও নাঈমের পরিচয় পাওয়া গেছে।

আটকরা হলেন, খান মাসুদ গ্রুপের সাজু, মোস্তাফিজ, কাজী জহির গ্রুপের তাওলাদ ও তপন।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কাজী জহির ও খান মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বন্দর ১নম্বর খেয়াঘাট স্ট্যান্ডে থাকা প্রায় ২০টি অটোরিকশা ও কল্পনা খান মাকের্টের ২টি দোকান ভাঙচুর করে।

এ ব্যপারে খান মাসুদ জানান, কাজী জহির হঠাৎ করে তার দলবল নিয়ে আমার অফিসে হামলা চালায়। তারা অটোরিকশা স্ট্যান্ডে ব্যাপক ভাঙচুর ও মনসুর মিয়ার ডিমের দোকান ও সাচ্চু মিয়ার পার্সের দোকানে লুটপাট করে।

এদিকে কাজী জহির পাল্টা অভিযোগ করে জানান, খান মাসুদের নেতৃত্বে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি হয়ে আসছিল। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ব্যবসায়িক পার্টনার বাসু মিয়ার বাড়ি ভাঙচুর করে ও আমাদের লোকদের কুপিয়ে জখম করে।

বন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শেখ সাদী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় এসে মামলা করেছে। পুলিশ দু’পক্ষের আটক ৪ জনকে থানা হাজতে আটক রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।