ঢাকা: সিদ্দিক মিয়ার বয়স ৩০। রিকশা চালান।
গ্রামের বাড়িতে তিন ছেলে-মেয়েসহ বাবা-মা নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার। তার আয়ের টাকায় চলে পরিবার।
শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) অবরোধের দিন যাত্রী মিলেছে কি-না জিজ্ঞেস করতেই বলেন, ইউনিভার্সিটি, অফিস-আদালত বন্ধ থাকলে কি আর যাত্রী
পাওয়া যায়! মানুষ তো এখন ভয়ে বের হতি চায় না।
সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘হরতালও যা, অবরোধও তা। কারণ সব দিনই পেট্রোলবোমা ফাডায়। মানুষ ঘুরতি বের হলেই তো রিকশায় ওঠবে।
তাই না?
পাশেই ছিলেন রিকশাচালক মোখলেছুর রহমান (২৪)। যিনি নওগাঁ থেকে ঢাকায় এসেছেন। তিনি জানান, হরতাল অবরোধের কারণে তারও আয় রোজগার কমে গেছে। গত এক মাস আগে তার ছেলে একটি পাঞ্জাবি নিয়ে যেতে বললেও এই পরিস্থিতিতে বাড়ি যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
মোখলেছুর রহমান বলেন, আমরা রাজনীতি বুঝি না, আয় বাড়লেই চলে। আমরা চাই আগের মতো সুন্দর পরিবেশ। যেখানে আগুনে পুড়ে মরার ভয় থাকবে না।
বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীবাসীর নিরাপদ বাহন এখন রিকশা। রিকশা ছাড়া সব যানবাহনই ঝুঁকিপূর্ণ।
চলতি বছর ২০১৫ সালের শুরু থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ-হরতাল শুরু হয়। এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা অবরোধ-হরতাল চলছে। এসময় দুর্বৃত্তদের ককটেল ও পেট্রোলবোমা হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘন্টা ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫