বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রঞ্জু প্রামাণিক(৪০) নামের এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন।
রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে নিহতের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রঞ্জু ফুলতলা এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তার বড় ভাই মজনুও প্রতিপক্ষের হাতে এর আগে নিহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পর নিহত মজনু-রঞ্জুর ভাগ্নে বুশ হত্যা মামলার আসামি কৈগাড়ী পূর্বপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন রঞ্জুর লোকজন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কাপড়-চোপড় ও আসবাবপত্রের ক্ষতি হলেও আগুনের তীব্রতা বেশি না হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিস্টার ও নিহত মজনু-রঞ্জু গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ বিরোধর জের ধরে বাড়ির পাশে আড্ডারত অবস্থায় প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে নিহত যুবলীগ নেতা মজনুর ছোট ভাই রঞ্জু প্রামাণিককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিসক রঞ্জুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল মান্নান জানান, নিহত ও হত্যাকারীরা উভয়েই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং উভয়পক্ষের অধিকাংশ লোকজন থানার তালিকাভূক্ত ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাছাড়া রঞ্জুর বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল মোর্শেদ আপেল জানিয়েছেন, রঞ্জু যুবলীগের কর্মী, তবে তিনি কোনো দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দলীয় নয়। নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫
** পটুয়াখালীতে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা