সিলেট: সিলেটের রাজপথে দেখা নেই বিএনপির। আর অলিগলিতে ছাত্রদলের মিছিল করার চেষ্টা।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ২০-দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সিলেটে এভাবেই পার হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের হরতালে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া কোথাও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হরতাল সফলের লক্ষ্যে রাজপথে নামেননি বলে জানিয়েছেন তৃণমুল নেতাকর্মীরা।
দ্বিতীয় দিনের হরতালে সিলেটে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। হরতাল উপেক্ষা করে অধিকাংশ দোকানপাট ও বিপণীবিতান খোলা রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে দিনভর নগরীতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করলেও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ছিল। সিলেট থেকে সব ক’টি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ২টার দিকে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের দাবিতে স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা নগরীর কুমারপাড়া পয়েন্টে সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে পুলিশ একজনকে আটক করে।
বেলা ১টায় নগরীর উপকণ্ঠ শাহী ঈদগাহ এলাকায় মিছিল বের করে ছাত্রদল। একই সময়ে দক্ষিণ সুরমার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বরইকান্দি আজরাই বাইপাস পয়েন্টে ডজনখানেক ছাত্রদল নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল বের একটি কার (ঢাকা মেট্রো-গ- ১৭-৪২৫৬) ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাঙচুর চালায়।
এর আগে সকাল ১০টায় নগরীর রিকাবীবাজারে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদলের মদন মোহন কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই তারা পালিয়ে যান।
তবে নাশকতা এড়াতে অন্যান্য দিনের ন্যায় সিলেট নগরীর বিভিন্ন মুড়ে মুড়ে চৌকি বসিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ।
বাংলানিউজকে তিনি জানান- হরতালে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা টহল জোরদার রেখেছিল। তাছাড়া রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে সোমবার হরতালের দ্বিতীয় দিনে মহানগর জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫