ঢাকা: তারকাঁটার বেড়া দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জনতার রুদ্ররোষ থেকে রেহাই পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সহিংসতা ও নাশকতাবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, জামায়াত যেমন একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার দায় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিল, বিএনপিও সেভাবে বর্তমান আগুন-সন্ত্রাসের দায় সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের ওপর চাপাতে চায়।
মানুষের চোখ ও আইনের চোখ বন্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার হুকুমদাতার দায় খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে। গোলাম আযম-নিজামীর মতো বর্তমান ঘটনাবলীর ’সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির’ দায় তার ওপরই বর্তায়। তাদের মতো তাকেও মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ড নিতে হবে।
বিশিষ্ট নাগরিকদের জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ সম্পর্কে রাশেদ খান মেনন বলেন, গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। আগুনে পোড়া মানুষগুলো সম্পর্কে বিশিষ্ট নাগরিকরা একেবারেই নীরব, যেন বর্তমান সংকটে এর কোনো ভূমিকা নাই। মনে হচ্ছে, দেশের গরীব মানুষগুলোর প্রতি এদের কোনো দায়িত্ব নেই। দায়িত্ব থাকলে, প্রথমে তারা আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ করতে বলতেন।
জাতীয় সংলাপের প্রস্তাবক ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে মেনন বলেন, এটা তার এক ধরনের বিলাসিতা। সম্ভবত এবার শীতে বিদেশে তার কোনো ব্রিফ নাই। যে কারণে দেশবাসীর মনোযোগ পাওয়ার জন্য কিছু একটা করা। নিশ্চিত করে বলা যায়, ক’দিন পরে তাকে দেশে পাওয়া যাবে না।
গণমাধ্যম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম যদি একদিন তথাকথিত হরতাল-অবরোধের খবর প্রচার না করতো, আপনা-আপনিই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যেত।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড হাজেরা সুলতানা এমপি, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫