ঢাকা: দেশব্যাপী টানা চতুর্থদিনের হরতাল চলছে। মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট চলমান ৭২ ঘণ্টার হরতালের মধ্যেই আরো ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আহ্বান করে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হরতালের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ ঘোষণার ফলে টানা দু’সপ্তাহ জুড়ে সব কর্মদিবসই হরতালের কবলে পড়লো।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সকাল ৬টা থেকে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালের সঙ্গে আরো ৩৬ ঘণ্টা জুড়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল চালিয়েছিলো ২০ দলীয় জোট। এরপর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সকাল ৬টা থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকে তারা। মঙ্গলবার তার সঙ্গে আরো ৪৮ ঘণ্টার হরতাল জুড়ে দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অবৈধ সরকার গণদাবি মেনে না নেয়ায় আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি পুনরায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি বর্ধিত করা হলো।
তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণে আওয়ামী উগ্র বাসনাই চলমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ। অসৎ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়েই তারা জনপ্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিকে বেআইনিভাবে বিরোধী দল দমনের নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে।
রাত ৯টার পর মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে সরকারের অস্তিত্বহীনতাকেই স্বীকার করে নেয়া হলো দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, অচিরেই সরকার দিনের বেলাতেও সকল সরকারি অফিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনের গতি দেখে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা এখন তাদের পতনের প্রহর গুণছে। অজস্র নির্যাতনের শৃঙ্খল ভেঙ্গেই এই আন্দোলন এখন চুড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসরমান। এই আন্দোলন গণতন্ত্র মুক্তি ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
মানুষের নিশ্চিন্তে ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। একটি অমানবিক, নিষ্ঠুর, হিংসাশ্রয়ী, গণতন্ত্র বিনাশী এবং অন্ধ ও অহংকারী সরকারকে ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য করার আন্দোলন। গণদাবির বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের এই আন্দোলন থেকে পিছপা হবেনা ২০ দলীয় জোট। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
** শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল