ঢাকা: যারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলে তারা জ্ঞানপাপী। সব সময়ই কিছু না কিছু জ্ঞানপাপী থাকে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ছিল।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কিছু জ্ঞানপাপী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেছেন। তারা আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) ভারতের চর বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাদের সংখ্যা অতি নগন্য থাকায় তারা পরাজিত হয়েছিলেন। বর্তমানেও বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে তথাকথিত জ্ঞানপাপী ও বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন করে তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা চায় না।
তিনি আরো বলেন, আজ সাধারণ মানুষ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। অমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের পরাস্ত করবো। সরকার ও তার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে তাদের দমন করবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে পরিণত করতে জামায়াত অনেক আগে থেকে চেষ্ট করছে। তবে এখন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ জঙ্গি তৎপরতা চলছে। তাদের কর্মসূচি সব জঙ্গি কায়দায় করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ আছি। তাদের আর কোনো ছাড় দেবো না।
তিনি বলেন, দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। বর্তমানে দেশে মানুষ সৃষ্ট দুর্যোগ চলছে। বিএনপি আগামী নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে না। তারা দেশকে ধ্বংস করার জন্য ও ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য কর্মসূচি পালন করছে। আমরা কঠোরভাবে তা দমন করছি।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া এখন জামায়াতের নেত্রী হয়েছেন। তাই তারা এখন থেকেই জামায়াতের কায়দায় কর্মসূচি পালন করছেন। জামায়াত কখনও শহীদ মিনারে যায় না। তারা সব সময় একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়াও শহীদ মিনারে না গিয়ে দোয়া মাহফিল করেছেন। তাই মনে হচ্ছে বিএনপি এখন জামায়াতের পেটে ঢুকে গেছে। খালেদা জিয়া ইচ্ছা করলেও জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, টকশো‘তে বলা হয় দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। কিন্তু বিএনপি কোনো রাজনীতি করছে না। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় নাশকতা করছে। অতীতে অনেক রাজনৈতিক সংকট ও সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এখন যা হচ্ছে তা সন্ত্রাস। তাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নদেশে সন্ত্রাসীদের যে কায়দায় দমন করা হয় আমরা সেভাবে সন্ত্রাসীদের দমন করছি। বিএনপি যদি রাজনীতি করতো তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনাও হতে পারতো।
মানববন্ধনে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে দেশের জন্য, জনগণের জন্য। কিন্তু খালেদা জিয়া গত ৪৫ দিন ধরে কার্যালয়ে কি করছেন। তিনি বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছেন। তিনি আসলে কি চান তা কেউ বলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আজ খালেদা জিয়া জনগণ ও আদালতকে ভয় পান। তিনি আদালতে হাজির হতে ভয় পান, শহীদ মিনারে ফুল দিতে ভয় পান। তিনি আসলে মানুষ হত্যার উৎসবে মেতেছেন। মানুষ এটা মানবে না। বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে মানুষ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। তাই সকলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। আরও একবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদাকে পরাজিত করতে হবে। তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫