ঢাকা: বিএনপি নেতারাই হরতাল-অবরোধ মানছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাওয়াতে অংশ নিতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপি নেতারা গাড়ি চড়ে যান।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো-সিএমএসডি) বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নাসিম।
মন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধ আহ্বান করে বিএনপি নেতারাই এখন মানছেন না। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ভারতীয় হাইকমিশনে যে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত হন। মওদুদ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, মঈন খানরা সেখানে গাড়িতে করে যান। আমরা সবাই অনুষ্ঠানে এ দৃশ্য দেখেছি।
নাসিম বলেন, নিজেরা অবরোধ না মেনে জ্বালাও-পোড়াও করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। এভাবে সরকারের পতন ঘটানো গেলে পৃথিবীতে আর সভ্যতা গড়ে উঠতো না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের সহকারী পরিচালক ডা. একেএম আকতারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম রসুল প্রমুখ।
মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হরতাল-অবরোধ ডেকে দলের নেতারা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। অথচ সাধারণ মানুষ গাড়িতে যাতায়াত করলে পেট্রোল বোমা মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ কেউ মানছে না দাবি করে তিনি বলেন, মানুষ হরতাল-অবরোধ মানলে রাস্তায় রিকশা, সিএনজি ও বাস চলতো না, যানজট থাকতো না।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি পেট্রোল বোমা মেরে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি গাড়ি পোড়ালে আমি নতুন ১০টি গাড়ি দেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ধ্বংসে নয় উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
এ সময় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আন্দোলনের নামে পটকা, ককটেল ও পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে, এগুলো পুরানো অস্ত্র। মেশিনগান, কামান ও বন্দুকের মুখে যুদ্ধ করে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তাদের কাছে এগুলো কিছুই নয়।
অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের ১৯টি জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সের চাবি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তুলে দেন। আরও দেড়শ’ অ্যাম্বুলেন্স খুব শিগগিরই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫, আপডেট ১৮০৬