জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে ১৪দল আয়োজিত মিছিল পরবর্তী শান্তি সমাবেশে দু'টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রেবেকা সুলতানাসহ কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের স্টেশন রোডে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেয়।
আহত অন্যরা হলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সভানেত্রী সালমা বেগম (৪৫), ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা (২৮), ফিরোজ হোসেন (৫৫), জয়পুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খঞ্জনপুর এলাকার বাসিন্দা হামিদুল (৫২), বম্বু ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও বানিয়াপাড়া নিবাসী মোসদুল, জয়পুরহাট সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম, জয়পুরহাট সদরের তেঘর চারমাথা এলাকার মজিবর রহমান (৫০), নতুন হাট শেখপাড়ার মজনু সরকার (৩৫), উচনাপুরের তফিজ উদ্দীন (৫২), খাসপাহনন্দার বাবুল হোসেন (৩৫), জয়পুরহাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাগর (২২), নতুন হাট শেখ পাড়ার ভোলা সরকার, ভাদশার সানোয়ার হোসেন, ধলাহারের ফরিদ হোসেন (৬৫), সুগার মিল এলাকার মিঠু কর্মকার (৩০) ও কুজিশহরের মতিন সিং।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মজনু, মজিবর, তফিজ উদ্দীন, বাবলু, ফরিদ উদ্দীন ও মোসাদুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে জয়পুরহাট জেলা ১৪দল একটি শান্তি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এস এম সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শহরের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় সমাবেশ স্থলে পরপর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রেবেকা সুলতানাসহ ১৭ জন আহত হন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫/ আপডেটেড: ১৯২৫