ময়মনসিংহ: কোতোয়ালির স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুরুজ্জামান চাঁনের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকন!
শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিতগত রাতে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ময়মনসিংহ শহরের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন নুরুজ্জামান চাঁন।
এদিকে রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাসে জানান, গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এবং ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নামের মিল থাকায় এ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
নিজের ছবি সম্বলিত স্ট্যাটাসে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লেখেন, ‘আমি ভাল আছি, সুস্থ আছি, আমি গুলিবিদ্ধ হইনি..! সকাল থেকেই একের পর এক মোবাইল ফোনে কল..., অপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা, "ভাই আপনি কোথায়, আপনি সুস্থ আছেন তো..? মোবাইল ফোন রিসিভ করতে করতে ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা..!
তিনি ওই স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের বাস ভবনের সামনে বোমা হামলার সময় পুলিশের গুলিতে আহত নূরুজ্জামান বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা..... আর আমি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম নূরুজ্জামান খোকন।
আমার প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এহেন ভালোবাসায় আমি অভিভূত......আশা করি, এই স্ট্যাটাসের পর, সব বিভ্রান্তি দূর হবে।
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের নেতা প্রদীপ ভৌমিক ওই স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরনের সংবাদগুলো আরও সতর্কতার সঙ্গে পরিবেশন করা। আমিও বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। ধন্যবাদ খোকন বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রায় বলেন, সরকারি চ্যানেলগুলোতে নাম গেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের। কোথাও স্বেচ্ছাসেবক লীগ শব্দটি এসেছে বলে আমার জানা নেই।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মূসা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বলতে কোনো কিছুই টিভি স্ক্রলে যায়নি। টিভি চ্যানেলগুলোর সাংবাদিকরা দায়িত্বশীলতার মাধ্যমেই নিজেদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে কেন এমন আজব দাবি করা হচ্ছে তাই আমাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকনের এ স্ট্যাটাসের ঘটনায় শহরজুড়েও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনীতিতে তিনি এখন অনেকটাই নীরব। নিজের সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি দীর্ঘদিনেও।
তার সংগঠনের কোনো সাধারণ সম্পাদক নেই। বাদ বাকী পদগুলোও পূরণ করা হয়নি। নিজেকে জাহির করতেই অবাক কাণ্ডটি করেছেন খোকন।
তবে নুরুজ্জামান খোকন বাংলানিউজকে বলেন, টিভির স্ক্রল আমি নিজেও দেখিনি। অনেকেই মোবাইল ফোনে কল করে আমাকে এটা বলেছেন। আমি আলোচনায় আসার জন্য এ স্ট্যাটাস দিয়েছি এটা আমার শত্রুরাই বলবে, অন্যরা না।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৯ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫