ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাশ ফেলা নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা হামলা, মানুষ হত্যাসহ নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ৭৫’র পর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মান্নার উত্থান। অবশিষ্ট নাগরিক হিসেবে আজ তিনি রাজনীতিতেও অবশিষ্ট। তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ‘লাশ ফেলে মান্না, হতে চান আন্না (আন্না হাজারে)’ বলেও মন্তব্য করেন সোহাগ।
এদিকে যেখানেই মাহমুদুর রহমান মান্নাকে পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে গণপিটুনি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
সম্প্রতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে বিএনপির এক নেতার (সাদেক হোসেন খোকা) ফোনালাপের রেকর্ড ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তিনি আন্দোলন চাঙা করার জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার’ কথা বলেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলো ছাত্রলীগ।
মান্নার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আর কোনো কর্মসূচির পরিকল্পনা ছাত্রলীগের রয়েছে কি-না জানতে চাইলে বদিউজ্জামান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনীতিকে উচ্ছিষ্ট একজন ব্যক্তিকে জনপ্রিয় করার কোনো ইচ্ছা নেই।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আয়োজনে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জীবন, হাসানুজ্জামান তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ।
সমাবেশের আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫