ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

টকশো’র কথা শুনতেও টক লাগে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
টকশো’র কথা শুনতেও টক লাগে ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: টেলিভিশন টকশো’তে আসা বেশিরভাগ অতিথিই সরকারের পক্ষে কথা বলেন। যদি কেউ ভুল করে বিপক্ষে একটাও সত্য কথা বলেন তখনই তাকে আটক করা হচ্ছে।

এর আগে কোনো সরকারের আমলেই গণমাধ্যম এতো প্রতিকূলতার মধ্যে পরেনি।

মঙ্গলবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের নেতাকর্মীরা।

বিএফইউজে’র একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, ‘গণবিরোধী’ সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, সেন্সরশিপ প্রত্যাহারসহ স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেন,  টেলিভিশনের সাংবাদিকরা এখন সংবাদ প্রচার করতে ভয় পান। কারণ কখন কোন সংবাদ প্রচারে তার চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়, তা তো বলা যায় না। টক শো’তে কথা বললেও আটক করা হচ্ছে।

তিনি সরকার ও মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার বন্ধ করা হয়েছে। এভাবে দেশ চলে না। প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সংলাপে বসার আহবান জানিয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সংলাপের কোনো বিকল্প নেই।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজি বলেন, বিনা দোষে সরকার সাধারণ মানুষকে আটক করছে। এর জন্য তাকেও একদিন বিচারের আওতায় আসতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে এখন টকশো’ও টক লাগে। টকশো’তে কথা বললে এখন টকশো’ও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, এমন দেশে আমরা বাস করছি।
গণতন্ত্র বাঁচাতে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসারও আহবান জানান তিনি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। এই ‘ফ্যাঁসিবাদী’ সরকারের পতন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের আটক, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সমাবেশে  আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এম এ আজিজ, সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের  সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী,  মীর আহমেদ মীরু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।