ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের দুর্নীতির মামলা মোকাবেলা করা উচিত বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত উয়োহান ফ্রিসেলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সোয়া পাঁচ কোটি টাকার দুর্নীতির দুই মামলায় ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সবারই আইন মেনে চলা উচিত। তিনি অনেক দিন থেকে আদালতে উপস্থিত হননি। একবার যাওয়ার পর পরের তারিখগুলোতে যাননি। বিচার বিভাগের ব্যাপারে মন্তব্য না করাই উচিত। তবে আমি মনে করি, দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খালেদা জিয়ার মোকাবেলা করা উচিত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের অনেকেই রাজনীতি করেছেন; আমরাও করেছি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনগতভাবে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আইনগতভাবে নেওয়া হবে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যেটা বিএনপি করেছে, আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সেটা করি না।
এ সময় তোফায়েল আহমেদ নিজের বিরুদ্ধে ৩৯টি মামলা ও গ্রেফতার করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, তারা (বিএনপি) এগুলো করেছে। আমরা তো তা করিনি। তার (খালেদা জিয়া) নামে যে মামলা হয়েছে, তা মোকাবেলা করা উচিত।
খালেদা জিয়া গ্রেফতার হচ্ছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেভাবে কার্যক্রম নেওয়া উচিত, সেভাবে নেওয়া হবে।
মান্নার কাছে জাতি তা প্রত্যাশা করেনি:
টেলিসংলাপে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মান্না এক সময় ছাত্রনেতা ছিলেন। ডাকসুর ভিপিও ছিলেন; আমিও ছিলাম।
কিন্তু তার কিছুদিনের তৎপরতা এবং সর্বশেষ টেলিফোনে যে কথা বলেছেন, এটা দেশ ও জাতি তার কাছে প্রত্যাশা করেনি।
তিনি বলেন, ওর (মান্না) নাম নিয়ে কথা বলতে বিব্রত লাগে। টেলিযোফোনের ডিসকাশন (আলোচনা) সমস্ত জাতি বিস্মিত হয়েছে। যারা টকশোতে গিয়ে এত নীতি কথা বলেন, ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে কী! মাহমুদুর রহমান মান্না নিজে নিজেকে সেটা প্রকাশ করে দিয়েছেন। ওর সম্পর্কে এর চেয়ে বেশিকিছু না বলাই ভালো।
হরতাল-অবরোধে যে পরিস্থিতি, তা খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান মন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটা নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে না। তারা নিজেরাও বিস্মিত হয়েছে সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের জন্য। এগুলো নিয়ে আলোচনা করবে, এতে অসুবিধা কী!
বিনিয়োগে আগ্রহী সুইডেন:
সুইডেন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত। তবে চলমান নাশকতায় পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে থেকে কোনো পণ্য নিতে অর্ডার দেওয়ার পর অবরোধ-হরতাল থাকলে সেই সব পণ্য পরিবহনে যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় রাষ্ট্রদূত সে বিষয়ে কথা বলেছেন।
তারা আইটিখাতসহ ইনোভেশন খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫