কুষ্টিয়া: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
নাগরিক ঐক্য বা সুশীল সমাজের নামে ভদ্রতার মুখোশ পরে তিনি ভেতরে যে ষড়যন্ত্র করতেন ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য বিএনপিকে ইন্ধন দিতেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্যের নামে সংলাপের আহ্বানও ছিল পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যার অপকৌশলকে আড়াল করার চেষ্টা। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে তার কথপোকথনের মাধ্যমে সারাদেশে যে নাশকতা হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে বিএনপিই জড়িত সেটিও পরিষ্কার হয়ে গেছে।
হানিফ বলেন, মাহমুদুর রহমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, ফলে দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আইনগতভাবে বিচার হবে তার।
এ সময় সংলাপ প্রশ্নে হানিফ বলেন, এই মাহমুদুর রহমানরা একদিকে সংলাপের কথা বলছেন অন্যদিকে বিএনপিকে নাশকতার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন। এই সংলাপের দাবি ছিল সরকারকে চাপ সৃষ্টি করা ও এসব নাশকতাকে আড়াল করা।
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করাসহ বিএনপি-জামায়াতের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আইন দিয়েই দমন করা হবে। বর্তমান সরকার সেটাই করছে। এই সব নাশকতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখনও যারা নাশকতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে জনগণই এখন সোচ্চার হয়েছে। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ভবিষ্যতে আর এসব নাশকতার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫