ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করেন খালেদা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করেন খালেদা’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অন্যান্যদের সহযোগিতায় বা যোগসাজশে বা অন্যকে লাভবান করতে বা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের অফিসিয়াল (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাৎ করেন বা আত্মসাতের কাজে সহযোগিতা করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী হারুন-অর-রশিদ।



বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে আসামিদের অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী হারুন-অর-রশিদের এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

হারুন-অর-রশিদ তার অসমাপ্ত সাক্ষ্যে আরও বলেন, আসামি খালেদা জিয়া নিজে ও মামলার অন্যান্য আসামিদের লাভবান করতে অসৎ উদ্দেশ্যে তার নিজস্ব পরিচালনায় এতিম তহবিল গঠন করেন, যা আগে ছিল না।
 
সাক্ষী বলেন, এই এতিম তহবিলে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তার (খালেদা) নেতৃত্বে অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করা হয়।   ট্রাস্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপর তিন ব্যক্তি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আহমেদ ও শরফুদ্দিন আহমেদ সম্মিলিত হয়ে তাদের নামে এফডিআর করেন এবং তা ভেঙ্গে সব টাকা উত্তোলন করেন।
 
সাক্ষ্যে হারুন-অর-রশিদ জানান, ওই সব অভিযোগে তিনি নিজে বাদী হয়ে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মমিনুর রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল, সৈয়দ আহমেদ ওরফে সায়িদ আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় এ মামলা করেন।

প্রথম সাক্ষীর শেষদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। যদিও এর আগে মামলার অভিযোগ গঠনের আগে-পরে এবং সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য দিনগুলোতে দুই হট্টগোল করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
 
এর আগে সময়ের আবেদন খারিজ করে খালেদাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত। এরপরই ৩৩ মিনিট সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
 
আদালতের শুরুতে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুপস্থিতি ও বিচারকের প্রতি অনাস্থার আবেদন হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতে দু’টি সময়ের আবেদন জানান।
 
এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হলে খালেদার আইনজীবীদেরকে তাদের নির্ধারিত আসনে বসতে বলেন আদালত।
 
এরপর দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল সাক্ষ্যগ্রহণ করতে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন। পরে খালেদা জিয়ার দু’টি আবেদন খারিজ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শান্ত হয়ে বসে থাকেন।
 
এরপরই সাক্ষী হারুন-অর-রশিদের অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালতে এ মামলার সব আসামির অনুপস্থিত থাকায় জেরাও বাতিল করেন আদালত। পরে আগামী ৪ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন এ মামলার আরেক আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাজির করতে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাইল্লাহ মিয়াকে নির্দেশ দেন আদালত।
 
সাক্ষ্য শেষ হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করে পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আরজি জানান সানাউল্লাহ মিয়া। শুনানি শেষে এ আবেদনও খারিজ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ