ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ঘোষাণাতেই হরতাল, রাস্ত‍ায় তীব্র যানজট

আবু খালিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
ঘোষাণাতেই হরতাল, রাস্ত‍ায় তীব্র যানজট ছবি : শাকিল আহমেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে বনানীর কাকলী মোড় পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে যানবহন আটকা পড়ে আছে। ফার্মগেট, মগবাজার থেকে আসা এসব গাড়ির গন্তব্য গাজীপুর, চন্দ্রা, টঙ্গী।


 
অপর দিকে গাজীপুর, আবদুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে আসা গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা হওয়া গাড়িগুলো আটকা পড়েছে বনানী-কাকলী মোড়ে।
 
সবমিলিয়ে মহাখালী থেকে বনানী ও বনানী থেকে মহাখালী, এই মহাসড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলছে।  
 
শুধু ওই মহাসড়কেই নয় বাড্ডা, লিংক রোড, গুলশান অন্যদিকে শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট এলাকাতেও রয়েছে একই রকম চিত্র। থেমে চলছে গাড়ির চাকা। যানজটে নগরবাসী অতিষ্ট হয়ে কেউ কেউ গন্তব্য কাছে হলে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হাঁটা দিচ্ছেন।
 
বুধবার (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে সাড়ে রাত ৮টা পর্যন্ত এরকম যানজটের চিত্র দেখা গেলো।
 
মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা বলে জানালেন তিন নম্বর গাড়ির চালক রাশেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিনই মোটামুটি যানজট ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তায় তীব্রতর যানজট তৈরি হয়েছে। পাশ থেকে হেলাপার জানালেন, গুলিস্তান থেকে কাকলী মোড়ে আসতে তাদের সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
 
বেসরকারি চাকরিজীবি আয়নাল হক জানালেন, মৎস্য ভবন থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। রাত সাড়ে ৭টার দিকে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম হরতাল অবরোধে রাস্তা ফাঁকা থাকবে। কিন্তু এতো যানজট হরতাল-অবরোধ না হলেও হয় না!
 
হরতাল-অবরোধের মধ্যে এতো যানজট। এ প্রসঙ্গ তুলতে উত্তরাগামী যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলে ওঠলেন, মানুষ রাস্তায় বের হতে চায়। মুখে হরতাল ডেকে যারা নিজেদের কাজ ঠিকই করছে। তাদের ডাকা হরতাল মানুষ পায়ে ঠেলে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে।
 
মতিঝিল থেকে কাকলী মোড়ে নেমেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুরো রাস্তাজুড়ে যানজট। গাড়ির মধ্য মানুষের জট আর রাস্তায় গাড়ির জট। দুইয়ে মিলে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছি।
 
হরতালের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জোর করে মানুষকে হয়রানি করার কোনো মানে নেই। তারা হরতাল ডেকেছে, আর মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়েছে। তার মানে এ হরতাল পায়ে ঠেলে দিয়েছে সবাই।
 
তরঙ্গ গাড়ির চালক করিম জানান, মোহাম্মাদপুর থেকে নতুনবাজার আসতে হরতাল ছাড়া যেমন যানজটে পরতে হয়েছে, হরতাল-অবরোধ থাকার পরও একই রকম যানজটে পরতে হচ্ছে। ঘোষাণাতেই হরতাল অবরোধ, শুধু মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ