ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আমেজ খুলনা আ.লীগে

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আমেজ খুলনা আ.লীগে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: ১১ বছর পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে মহানগরীকে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।



উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেও। তোরণ, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের রাজপথ। আর এতে শোভা পাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ও জেলার শীর্ষ নেতাদের ছবি।

সম্মেলনে ১০ হাজার নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটবে এমন প্রত্যাশাই করছেন জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা।

এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং গ্রামাঞ্চলে এখন আলোচনার মূল ইস্যু আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলন। নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় আছেন জেলা কমিটির শীর্ষ পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য পদগুলোতে কারা আসছেন তা দেখার জন্য।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শেষমুহূর্তে শীর্ষপদগুলো পেতে দলের নেতারা দৌড়ঝাঁপ করছেন। কাউন্সিলরদের ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া হয়ে ছুটছেন পদপ্রত্যাশীরা।

জানা যায়, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম উঠে আসায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট চাইছেন তৃণমূল নেতারা। তারই অংশ হিসেবে তৃণমূলের সংগঠকরা সিলেকশন (মনোনীত) না করে ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দাবি জানিয়েছেন।

জেলা কমিটিতে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, এমপির নাম উঠে এসেছে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক বিএমএ নেতা ডা. শেখ বাহারুল আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা যুগ্ম-সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদী ও সাবেক ছাত্রনেতা অসিত বরণ বিশ্বাস।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে, জেলা কমিটি নয়টি উপজেলার আটটিতে সম্মেলন শেষ করেছে। পাইকগাছা উপজেলার সম্মেলন না করেই জেলা সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

সর্বশেষ, ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি জেলা শাখার সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদ সভাপতি এবং এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এবং প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, সাংগঠনিক কাঠামো নির্মাণের ধারাবাহিকতায় জেলার নয় উপজেলার মধ্যে আটটিতে সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে পাইকগাছা উপজেলার সম্মেলন করা সম্ভব না হলেও জেলার সম্মেলনের পরে তা করা হবে।

তিনি বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে নয় উপজেলায় জনসংখ্যার ভিত্তিতে ১৭৩ জন কাউন্সিলরের নাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচন করা হয়। এছাড়া জেলা সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আরো ৪৫ জন কো-অপশন কাউন্সিলর মনোনীত করা হবে।

শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলরা আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অথবা সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ