ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড় মোড়। চোখ আটকে গেলো চার রাস্তার মোড়ের দীর্ঘ যানজট আর পথচারীদের চলাচলে কর্মচাঞ্চল্যে।
এ দৃশ্য বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩ টার।
মাত্র কোয়ার্টার মাইল দূরে শহরের নতুন বাজার মোড় এলাকার চিত্রও অভিন্ন। এখানেও স্বাভাবিকভাবে ট্রাক, সিএনজি চালিত অটো রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও রিকশা চলাচল করছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে একই রকম দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে শহরের চরপাড়া, মাসকান্দা, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। শহরের কোথাও কেউ আর হরতাল মানছেন না। দূরপাল্লার যান চলাচলও রয়েছে স্বাভাবিক।
শহরের গাঙ্গিনারপাড় মোড় এলাকায় আলাপ হয় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালক আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে। ‘সানকিপাড়া-গোহাইলকান্দি’ বলে হাঁক দিচ্ছিলেন তখন। তার পেছনে অটো রিকশার দীর্ঘ সারি।
জানতে চাইলে উত্তর দিলেন, ‘অহন আর আগের মতো হরতাল অয় না। তাই ডর-ভয়ও নাই। আমরা ছোটখাট গাড়ি চালাই, ওরা আমগোরে ডিসটাব (বিরক্ত) করে না। ’
শহরের গাঙ্গিনারপাড় মোড় এলাকার পান-বিড়ি সিগারেটের এক দোকানদার বললেন, ‘গাঙ্গিনারপাড় মোড় এলাকায় সকাল-বিকাল যানজট লাইগাই থাকে। গত কয়দিনে মানুষের আনাগোনাও বাড়ছে। বিক্রি-বাট্টাও ভালো হইতাছে। ’
যানজটে আটকে থাকা এক অটো রিকশার যাত্রী হুমায়ুন (৩০) অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই বললেন, ‘এমনে আর কয়দিন। পাবলিক অতিষ্ট হইয়্যা গেছে। ঘরের বাইরে না বের অইলেতো পেটে ভাত জুটবো না। বেশি টানলে দড়ি ছিইড়া যায়, তেমনি হরতালও ছিইড়া গেছে। অহন পাবলিক রাস্তায় বের অইছে। হরতালের আর টাইম নাই। ’
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের হরিকিশোর রায় রোডে অবস্থিত ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৮৭৭১)। কথা হলো চালক সোলায়মানের সঙ্গে।
কয়েক মুহূর্তের আলাপে বললেন, ‘আগে হরতাল-অবরোধে গাড়ি চলতো না। অহনতো সবাই চালায়। তাই আমিও বাইর অইছি। মুক্তাগাছায় যাইতাছি। ’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বড় নেতারা সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন। অন্য নেতারাও নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলছেন। ফ
‘আন্দোলন আর কতদূর টেনে নেওয়া সম্ভব?’ উল্টো প্রশ্ন রাখেন ওই নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫