ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তর এর যুগ্ম সহসম্পাদক নূর আলমকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে তাকে তোলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ নূর আলমের স্ত্রী রীনা আলম প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রীনা আলম। এসময় তিনি বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গ্রেফতার এড়াতে নূর আলমসহ পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে তার (নূর আলম) ভাইয়ের বাসা জয়দেবপুরে অবস্থান করেন। কিন্তু সেখান থেকেই ৭ থেকে ৮ জনের একটি অস্ত্রধারী দল ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে তাকে তোলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, অপহরণকারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে লোকাল থানায় খোঁজ নিতে। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসময় তিনি জানান, ১৪ তারিখে সন্ধ্যার দিকে (৭টা) বেসরকারি এসএ টেলিভেশন চ্যানেলে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে যুবদল নেতা নূর আলমের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু থানায় খোঁজ নিয়ে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। নূর আলমের পেশা গার্মেন্টস ব্যবসা।
ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে তারা যেন এতিম না হয় এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন রীনা আলম।
আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশসহ দলীয় নেতাদের অনেকের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। আমি সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ও আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নূর আলমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে পল্লবী থানা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মারুফ হোসেন বিপ্লব জানান, পল্লবীতে রাজনৈতিক কিছু হলেই নূর আলমের নামে মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৫ জানুয়ারির পর থেকে ছয় থেকে থেকে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নূর আলমকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ নূর আলমের ছোট ছেলে রাহুল আলম, পুত্রবধূ সাথী আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫