ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারছে। সরকার বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যা করছে, নিরীহ মানুষ ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আটক বাণিজ্য করছে।
শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে এমন অভিযোগ করেন সিপিবি ও বাসদ নেতারা।
‘পেট্রোল বোমা ও ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যা বন্ধ, আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ’র দাবিতে যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিপিবি ও বাসদ।
বিএনপি নেত্রী খালেদার উদ্দেশে মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া; আন্দোলন করার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে আন্দোলন করতে পারেন না। এসব বন্ধ করুন।
‘নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিরোধীদের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু ক্রস ফায়ারের অধিকার আইন-শৃঙখলা বাহিনীর নেই। আগুন দিয়ে আগুন নেভানো যায় না, আলো ছড়াতে হয়,’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হরতাল-অবরোধে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দিয়ে ফাঁকা মাঠে আওয়ামী লীগ গোল দিতে চায় বলেও অভিযোগ করেন সেলিম।
তিনি বলেন, এসব কুশাসন বন্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লালিত বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা হবে। এজন্য পাড়া-মহল্লায় জনমত গঠনের আহ্বান জানান বাম এই নেতা।
‘দেশে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন চলছে’ অভিযোগ করে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, বর্তমানে ওয়ারেন্ট ছাড়া মানুষকে গ্রেফতার করে ‘আটক বাণিজ্য’ চলছে। যা গণতন্তের জন্য হুমকি।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর আহমেদ বলেন, একদল বলছে, ক্ষমতা ছাড়বো না। অন্যদল বলছে; ক্ষমতায় যেতেই হবে। আমরা যাবই। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে, মরছে সাধারণ জনগণ। আমরা এটা চাই না।
এসব সমস্যা সমাধানে জামায়াত-বিএনপি ছাড়া সব ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে পেট্রোল বোমায় ও ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ২ থেকে ৮ মার্চ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় সমাবেশ এবং গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে সিপিবি ও বাসদ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে সিপিবি-বাসদ যৌথভাবে একটি মিছিল বের করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শাহবাগ, কাঁটাবন, সাইন্স ল্যাব, নিউমার্কেট ও ঢাবি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫