ঢাকা: সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে একের পর এক বাধা এলেও ভেঙ্গে পড়েননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বরং শোক আর সকল বাধাকে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলনের প্রশ্নে তিনি রয়েছেন অবিচল।
বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবেও যেমন সুস্থ রয়েছেন, তেমনি মানসিকভাবেও বেশ শক্তি সঞ্চয় করেছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
কর্মকর্তারা জানান, গত ৫ জানুয়ারি সমাবেশে পুলিশ বাধা দেওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। ১১ জানুয়ারি থেকে ইট-বালু ভর্তি ট্রাক দিয়ে কার্যালয়ের মূল ফটকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়। এরপর ১৯ জানুয়ারি তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ২৭ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়েই প্রিয় সন্তানের মরদেহ গ্রহণ করেন তিনি। এঘটনায় জিয়া খালেদা জিয়া বিমর্ষ হয়ে পড়লেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
কর্মকর্তারা জানান, মা (খালেদা জিয়া) ছেলে মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে না পারলেও আন্দোলনের প্রশ্নে অবিচল রয়েছেন। তিনি সব কিছু ঠিকঠাক মতোই করতে পারছেন। একই সঙ্গে কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দলীয় কর্মকাণ্ডের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত শোকের পরিবর্তে তিনি ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে’ শারিরিক ও মানসিকভাবে যথেষ্ট সুস্থ ও সবল রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও যেমন আপোসহীন নেত্রীর ভূমিকা নিয়ে আন্দোলন করেছেন, ঠিক একইভাবে তিনি এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি অনেক শক্ত। খুব দৃঢ় তার মনোবল। গ্রেফতারি পরোয়ানাতেও তিনি একটুও চিন্তিত নন।
বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, স্থায়ী কিমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান খালেদা জিয়ার সঙ্গেই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এছাড়া নিকট আত্মীয়সহ আইনজীবী, ডাক্তাররা তার সঙ্গে নিয়মিতই সাক্ষাৎ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪