ঢাকা: আদালতের আদেশ অনুসারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির সময় আইনজীবীদের উপস্থিত রাখার দাবি জানিয়েছেন খালেদার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে দুপুরে গুলশান থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অফিস তল্লাশি করতে গুলশান থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত।
ওই মামলার (নম্বর: ২৫ (২) ১৫) অন্য ১৩ আসামির মধ্যে খন্দকার মাহবুবও একজন। অন্য ১২ জন আসামি হচ্ছেন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, শিরিন সুলতানা, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, হুমায়ুন কবির, এমএ কাইয়ুম, দেওয়ান সালাউদ্দিন, মোস্তফা, মামুন ও মানিক।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৩ ধারা অনুযায়ী, যারা সার্চ করতে যাবেন নিরপেক্ষ ব্যক্তির দ্বারা আগে তাদের সার্চ করাতে হবে। আর এ জন্য খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তার আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ ঘেরাওয়ে কিভাবে বোমা হামলা হল? কি করে এই বোমা হামলা হয়েছে, আমাদের এটা প্রশ্ন।
খন্দকার মাহবুবের মতে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে ‘অভূক্ত’ এবং ‘পুত্রশোকে কাতর’। এ অবস্থায় সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। চোরাই মালামাল থাকলে সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। অনেক সময় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুমতি চেয়ে সার্চ করতে পারেন।
খালেদা জিয়াকে বলা হচ্ছে হুকুমের আসামি। হুকুমের আসামির বিরুদ্ধে কেন সার্চ ওয়ারেন্ট এমন প্রশ্নও করেন খন্দকার মাহবুব।
আর এ জন্য তল্লাশিতে আইনজীবীদের উপস্থিতি চান খন্দকার মাহবুব।
পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ও হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে দু’দফা ককটেল হামলায় আহত হন ৬ জন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫