ঢাকা: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে খোঁজ নিয়ে গেলেন বিএনপির সাবেক দুই আলোচিত এমপি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সোমবার তারা বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ নিতে এসেছিলেন।
এই দুই এমপির একজন হলেন অষ্টম জাতীয় সংসদের হুইপ সৈয়দ শহিদুল হক জামাল ও অন্যজন রাজশাহীর বাঘমারার এক সময়ের নেতা আবু হেনা, এমপি।
আবু হেনা জানান, সিইসির সঙ্গে আলাপচারিতার পুরোটাই ছিল নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা সে বিষয়ে। এতে সিইসি তাদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বাচনের সময়সীমার বিষয়ে সিইসির বক্তব্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন মূলত এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েই ভাবছে। পরীক্ষা ও রোজার কারণে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
বিএনপি ডিসিসি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবু হেনা বলেন, তারা হয়ত সরাসরি অংশ নেবে না। তবে অন্য কোনো দলের বা নাগরিক কমিটির ব্যানারে কেউ দাঁড়ালে হয়ত সমর্থন দেবে।
নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে আবু হেনা বলেন, এক সময় সচিব ছিলাম। পরে রাজনীতিতে এসে দু’বার এমপি হয়েছি। ২০০৫ সালে জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির তৎকালীনে এক মন্ত্রী ও নেতাদের সংশ্লিষ্টতার বক্তব্য দিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন আবার আমাকেই নমিনেশন দিয়েছিলেন। কাজেই আমি এখনও বিএনপিতে আছি। তবে ডিসিসি নির্বাচনে আমি অংশ নিচ্ছি না।
এদিকে, সাবেক হুইপ সৈয়দ শহিদুল হক জামাল বলেন, সিইসির সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়। তাই, নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই খোঁজ নিতে এসছিলাম। বিএনপির হয়ে আসিনি। আমি এখনো বিএনপিতে বহিষ্কৃত।
সাবেক এই হুইপ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে দলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করে। কথিত আছে, খালেদা জিয়ার খুব আস্থাভাজন ছিলেন এই নেতা। এক সময় তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
এ বিষয়ে সিইসির পিএস একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্যারের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। এর আগে সকালেও একবার এসেছিলেন। তখন সিইসি একটি বৈঠকে ছিলেন বলে তাদের বিকেলে আসতে বলা হয়েছিল। সে মোতাবেক বিকেলে এসে তারা বৈঠক করে গেছেন।
নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির পর দলটি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে ২০১৩ সালে পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়লাভ করেছিল। ইতোমধ্যে ডিসিসি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও দলটি বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দেবে না বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫