সিলেট: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা দেশব্যাপী টানা ৭২ঘণ্টার হরতালের শেষদিনেও সিলেটের জনজীবনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। যানবাহন চলাচলে সরব রয়েছে নগরীর সবকটি সড়ক ও মহাসড়ক।
দোকানপাটও খোলা। কর্মদিবস হওয়ায় ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে সেবাগ্রহীতা মানুষের চাপ রয়েছে। আদালত পাড়ায়ও দেখা গেছে ভিড়। শুধু তাই নয়, নগরীর কোথাও হরতাল সমর্থকদেরও কোন তৎপরতা না থাকায় অনেকটাই নিরুত্তাপ হরতাল চলছে বিভাগীয় এই নগরীতে।
মঙ্গলবার(০৩ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। গত রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলবে ৪ মার্চ বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় পিকেটিং না থাকায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ সবধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। খোলা রয়েছে দোকানপাট, শপিং মল ও বিপণী বিতানগুলো।
নগরীর সড়কগুলো ছাড়াও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আন্ত:জেলা ও দূরপাল্লার বাসও সিলেট টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। পাথরবাহী ট্রাকও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে সিলেট ছাড়ছে। সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল।
এদিকে, নগরীতে যে কোন ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সন্দেহ হলে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান দেখা গেছে।
সেই সাথে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ টহল দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ।
নগরী ছাড়াও জেলার সবকটি উপজেলার কোথাও হরতালসমর্থকদের কোন তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি। জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর টইল অব্যাহত রয়েছে। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই হরতাল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি গত ৫ জানুয়ারি থেকে চলা টানা অবরোধও অব্যাহত রয়েছে।
** সিলেট নগরীতে বনফুলের কাভার্ড ভ্যানে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫