ঢাকা: চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৩ মার্চ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচার বর্হিভূতভাবে ১১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী ৭৯ জন।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কথিত ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে বেপরোয়াভাবে হত্যা করছে। পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কর্মীদের গাড়ি চাপা, গুলি, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, অবরোধের ৫৭ দিনে ১১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৯ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী। ৩৭ জনকে ফেব্রুয়ারিতে হত্যা ও ২১ জনকে গুম করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও ১০ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, পুলিশ-ৠাব ফ্রি স্ট্রাইলে গুলি করে মারছে। বিচার বর্হিভূত হত্যার পর ক্রসফায়ার, শুটআউট, এনকাউন্টার, গণপিটুনি, সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
বর্তমান সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে গাজী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এর সমাধান করতে পারেন।
ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বক্তব্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল আমিন গাজী।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, যেখানে ১৮ মাসে জঙ্গিদের হাতে ১৪ জন মারা যায়, সেখানে মাত্র ৫৭ দিনে বিচার বর্হিভূতভাবে নিহত হয়েছে ৭৯ জন। আদালত সরকারের আজ্ঞাবহ। শেখ হাসিনা আদালতকে ব্যবহার করে মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি, সন্ত্রাস সৃষ্টি ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
মান্না-খোকা ফোনালাপ করে অপরাধ করেননি, কিন্তু সরকার তাদের কথা রেকর্ড করে অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শওকত মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান মান্নার বিচারে কমিটি গঠনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন। মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন হলে কীভাবে এ ধরনের চিঠি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিচার বর্হিভূত হত্যা বন্ধ, রাজবন্দিদের মুক্তি, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫