ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশে ‘স্লিপার সেল’ চালু করেছে আল কায়েদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৫
বাংলাদেশে ‘স্লিপার সেল’ চালু করেছে আল কায়েদা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদাই বাংলাদেশে ‘স্লিপার সেল’ (সন্ত্রাসের একটি কৌশল) চালু করেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শহরের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান তিনি।



এর আগে তিনি ময়মনসিংহে র‌্যাব-১৪ ব্যাটালিয়ন ও শহরের বাড়েরা এলাকায় র‌্যাব-১৪’র জন্য অধিগ্রহণ করা জমি পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, স্লিপার সেলের মাধ্যমে কৌশলে বাংলদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় আল কায়েদা।  

কারা স্লিপার সেলের সঙ্গে জড়িত এটা বলে দিলে সন্ত্রাসীরা পাল্টা কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে বলে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি র‌্যাব মহাপরিচালক।  

বেনজীর আহমেদ বলেন, সন্ত্রাস এখন বৈশ্বিক বিষয়। কোনো সীমানা মানে না। আমরা দেখেছি মুম্বাইয়ে যখন হোটেলে হামলা করা হয় তখন অস্ত্র আনা হয়েছে এক দেশ থেকে, লোক আনা হয়েছে এক দেশ থেকে আর পরিকল্পনা করা হয়েছে আরেক জায়গায়। তার মানে এর পরিধি বিশ্বব্যাপী।  

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছি।

অভিজিৎ হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্লগার রাজিব হত্যাকাণ্ডের সময় ফারাবীর সম্পৃক্ততা ছিলো। এ কারণে র‌্যাব তাকে আটক করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের কাছে ফারাবীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

দেশজুড়ে চলমান নাশকতা প্রসঙ্গে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত চেষ্টায় নাশকতা এখন অনেক কমে এসেছে। ঐক্য, বোঝাপড়া ও দেশের অগ্রগতির আকাঙ্ক্ষায় উদ্বুদ্ধ হলে আমরা এখান থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবো।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত দু’দিনে যে ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের নজরে রয়েছে। এগুলো চলতে দেবো না। রাষ্ট্র ও জনগণের মেলবন্ধন তৈরি হলে এ ধরনের নাশকতাকারীরা সফল হতে পারবেন না।

রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের নতুন করে উত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আশঙ্কা আমি উড়িয়ে দেই না। যেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটছে সেখানে সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, র‌্যাব-১৪’র কমান্ডিং অফিসার (সিইও) মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ আরও অনেকে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।