ঢাকা: দুই দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বুধবার (০৪ মার্চ) আদালতে হাজির হচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এছাড়া এদিন তিনি ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলামে ব্যস্ত থাকবেন বলে তার মিডিয়া উইং সদস্যরা জানিয়েছেন।
এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন জানান খালেদা জিয়া। আদালত পরিবর্তনে আবেদনের সম্পূরক হিসেবে এ আবেদনটি করা হয়।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।
শুনানিতে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অন্য দু’জন হচ্ছেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে মঙ্গলবারই (০৩ মার্চ) গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারে বিচারিক আদালতে আবেদন জানান খালেদা জিয়া। বুধবার এ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ওই আবেদন জানালে শুনানির এ দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
মামলাটির অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকেও বুধবার আদালতে হাজির করতে তার আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ছয় আসামির অন্য দু’জন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার জামিন সাপেক্ষে কার্যালয়ে ফিরে আসার আশ্বাস এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন বলে জানান তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
নানা কারণ দেখিয়ে মামলা দু’টির শুনানির জন্য নির্ধারিত ৬৩ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৬ কার্যদিবসই অনুপস্থিত থেকেছেন খালেদা জিয়া, হাজির হয়েছেন মাত্র সাতদিন। কোনো আসামিই আদালতে না থাকায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের জেরাও বাতিল করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫