ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রদল-শিবির একাট্টা

দেশজুড়ে নাশকতা বাড়ছে

মান্নান মারুফ, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫
দেশজুড়ে নাশকতা বাড়ছে

ঢাকা: দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ভুলে ফের একাট্টা হয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। আর একাট্টা হয়েই তারা শপথ নিয়েছে, এখন থেকে যা করার এক সঙ্গে করবে।

কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সঙ্গেই লড়বে।

joypurhatরাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতোদিন ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি ও জামায়াতের এই দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সখ্য ছিলো না বললেই চলে। জোটের ব্যানারে আয়োজিত খালেদা জিয়ার সমাবেশগুলোতেও এই সখ্যের অভাব প্রকট হয়েই ফুটছিলো। বসার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্বে পরস্পরের সঙ্গে তারা জাড়িয়ে পড়ছিলো হাতাহাতি, মারামারিতে।

কিন্তু গত সোমবার রাজধানীতে এক গোপন বৈঠকে পরস্পরের কাছে দু:খপ্রকাশ করেছেন শিবির ও ছাত্রদল নেতারা। একই সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার শপথ নিয়েছে তারা। এতোদিন ধরে কেবল নিজ দলীয় নেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে বাঁচ‍াতে মাঠ দাপালেও এবার জোটের বৃহত্তর স্বার্থে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে শিবির। আর ছাত্রদল দিয়েছে বুকে বুক মিলিয়ে সরকারি বিরোধী তৎপরতা এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি।

তাদের যুগপৎ তৎপরতায় তাই হুট করেই ‍নাশকতা বেড়েছে দেশজুড়ে। বেড়ে গেছে যাত্রীবাহী বাস আর পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রোল বোম‍া হামলার ঘটনা। এই দু’দিনে সারাদেশে অর্ধ শতাধিক গাড়িতে আগুন দিয়েছে শিবির-ছাত্রদলের মিলিত কমান্ড। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সঙ্গে ৯ ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনাতেও তারা জড়িত বলে দাবি করছে গোয়েন্দা সূত্র।

Arambagসূত্র বলছে, মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধিপত্য বিস্তার নিয়েই এতো দিন দ্বন্দ্ব ছিলো শিবির ও ছাত্রদলের। কিন্তু আলাদাভাবে আন্দোলন চালিয়ে যে সুবিধা করা যাচ্ছে ন‍া তা বুঝে গেছে উভয়পক্ষই। তাই অভিমান আর বিভেদ ভুলে নিয়েছে ‘ডু অর ডাই’ নীতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একাধিক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, শিবিরের সঙ্গে এখন আর আমাদের কোনো বিভেদ নেই। সময়টা কঠিন। আমরা এখন থেকে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবো।

অপর এক নেতা বলেন, নিজেদের বিভক্ত করে রেখে আন্দোলনে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের আন্দোলন আরো কঠোর হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।