ঢাকা: ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফকে না পেয়ে পুলিশ তার ৬০ বছরের বৃদ্ধ বাবা মফিজুরকে মারধর করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বুধবার (০৪ মার্চ) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফের বৃদ্ধ বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আরেকটি ঘটনায় হাসান মাহমুদ সবুজের বাবা-মাকে মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেসামাল, বেপরোয়া ও গণবিচ্ছিন্ন সরকার নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে দমন ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের জন্য স্বেচ্ছাসবক দলের নেতাদের এমনকি পরিবারের সদস্যদেরকেও হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে। ’
বিবৃতিতে মরহুম মফিজুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। পাশাপাশি তারা সরকারকে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে মফিজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফকে না পেয়ে সরকারের পুলিশ বাহিনী তার ৬০ বছরের বৃদ্ধ বাবা মফিজুরকে পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন) করেন ।
এছাড়া সোমবার ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সবুজের বাড়িতে ছাত্রলীগ/যুবলীগসহ যৌথবাহিনী হামলা চালিয়ে তার বাবা-মা’কে মারধর করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫