কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদরের সুলতারপুরে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের পেট্রোলবোমা হামলায় নারীসহ অন্তত ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (০৪ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের সুলতানপুরে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল মালেক (৩৫) ও জাহেদার (৪০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
গুরুত্বর দগ্ধ আব্দুল মালেক (৩৫) নেত্রকোণা জেলার মদন থানার কদমজিরি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ও জাহেদা (৪০) সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ জেলার টুকেরগড় গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী।
দগ্ধ অন্য যাত্রীরা হলেন, দীপু রায় (২৩), মোতালেব (৩৮), পূর্ণিমা রায় (১৫), উষা রায় (১৭), বিল্পব পাল (৩০), নিমায় রায় (৩০), বিকাশ নায়েক মোদক (২৫), প্রতাপ চন্দ্র রঞ্জন (২৬) ও মাহফুজ (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে ৩০/৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শাহ সুলতান পরিবহন নামে একটি বাস সিলেটের ভোলাগঞ্জে যাচ্ছিল।
রাত সোয়া ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরের সুলতানপুরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে মুহূর্তে বাসে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয় বাসের ১২ যাত্রী। তাদের বেশিরভাগের হাত ও পা পুড়ে গেছে। আগুনে বাসটিও সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার প্রাণ নাথ সাহা বাংলানিউজকে ঘটনাটি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দগ্ধ যাত্রীদের কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনোয়ার হোসেন খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই বাসের চালক পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫/আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা