ঢাকা: শ্রম বেচে সংসার চালাতেন লক্ষ্মীপুরের পঞ্চাশোর্ধ্ব মোহাম্মদ হোসেন। অন্যান্য দিনের মতোই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজের খোঁজে বের হয়েছিলেন ঘর থেকে।
হোসেনের ছয় সন্তানের মধ্যে চারটি মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। এক মেয়ের স্বামী গত ঈদুল আজহার পর ঢাকায় একটি বহুতল ভবনে রঙের কাজ করতে গিয়ে নিচে পড়ে মরে যায়। আরেক মেয়ের তালাক হয়েছে। দুই মেয়ের সন্তান, বৃদ্ধ মা, বেকার এক ছেলে, আরেক স্কুলপড়ুয়া ছেলে নিয়ে সংসারটি চালাতেন হোসেন ও নূরজাহান। এখন নূরজাহানের চোখে শুধুই অন্ধকার। সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা গত দুই মাসের টানা অবরোধ এবং সেই সঙ্গে ঘন ঘন হরতালের সহিংসতা-নাশকতায় সারা দেশে মোহাম্মদ হোসেনের মতো কমপক্ষে ৮০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণপ্রদীপ নিভে গেছে। এই রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি কিংবা সরকারি দলের লাভের খাতাও শূন্য। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অবরোধ-হরতাল ডেকে কোনো দাবিই আদায় করতে পারেনি। রাজধানীসহ দেশের ৩০ জেলায় সহিংসতা-নাশকতা হয়েছে। এই নাশকতায় বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ম্লান হয়েছে। সরকারি দল নাশকতার চিত্র তুলে ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েলের কৌশল করতে করতেই পার হয়েছে দুটি মাস। হাওয়ায় ভাসছে সংলাপের আহ্বান।
গত দুই মাসে অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি পালন এবং কর্মসূচি প্রতিরোধের নামে গতকাল বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ১১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের কমপক্ষে ৮০ জনই নিরীহ মানুষ। পেট্রলবোমা ও আগুনে পুড়ে নিভে গেছে ৬৪ জন সাধারণ মানুষের প্রাণ। তার মধ্যে যাত্রী ২৯ ও পরিবহন শ্রমিক ২১ জন। ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীও দগ্ধ হয়ে মারা গেছে অনেকে। একজন পুলিশ সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে আগুনে পুড়ে। সংঘর্ষ-গুলি-বন্দুকযুদ্ধ-গণপিটুনি-ক্রসফায়ার-প্রাণ বাঁচাতে গাড়ির নিচে পড়ে নিহত হয়েছে ৫১ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জনই নিরীহ। আহত হয়েছে এক হাজার ৪০০ ব্যক্তি। আগুনে পুড়েছে ৩৫০ জন।
অবরোধে নাশকতা চালানো হয়েছে এক হাজার ৯০০ গাড়িতে। পোড়ানো হয়েছে ৮০০ গাড়ি। সাতটি প্রধান খাতেই অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। গত ৫ জানুয়ারি রাত থেকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ, সঙ্গে যখন-তখন হরতালের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে দেশের বিশিষ্টজনরা রাজনীতির নামে নিরীহ মানুষ পীড়ন বন্ধ করে গণতন্ত্রের শুভযাত্রা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, 'গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে সহিংসতা-নাশকতায়। কী লাভ হচ্ছে বিএনপি জোটের? হার্ডলাইনে গিয়ে সরকারেরই বা প্রাপ্তি কী তা আমরা বুঝতে পারছি না। মাঝখানে অকাতরে প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, তাদের বড় একটি অংশ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যে পরিবহন শ্রমিক মারা গেছে তার পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ দেবে কে? অবরোধে পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। রাষ্ট্রের এই ক্ষতি বন্ধ করতে হলে সংলাপে বসতে হবে দুই পক্ষকে। '
ক্ষতি ছাড়িয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকা : অবরোধ-হরতালে দুই মাসে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে এক লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের তথ্যানুসারে, দেশে এক দিনের হরতাল বা অবরোধে গড়ে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এ হিসাবে ৬০ দিনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। সংগঠনের তথ্যানুসারে, অবরোধ-হরতালের ৪৪ দিনেই পোশাক খাতে ৪০ হাজার কোটি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি, খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতে ২০ হাজার কোটি, আবাসন খাতে ১০ হাজার ৫০০ কোটি, কৃষি ও পোল্ট্রি খাতে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি, পর্যটন খাতে ৯ হাজার কোটি ও উৎপাদনশীল শিল্প খাতে পাঁচ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
এক দশক ধরে বাংলাদেশ ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ১৯০ মার্কিন ডলারে উঠেছে। ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে রপ্তানি আয়। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছাড়িয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। দারিদ্র্যের হার কমে ২৪.৪৭ শতাংশ হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনেও এগিয়ে আছে দেশ। এ অবস্থায় অবরোধ এবং এর সঙ্গে হরতালের মতো কর্মসূচি এগোনোর পথে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, 'ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইছেন। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে নাশকতার কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছি, এখনো জানাচ্ছি। '
অবরোধ-হরতালে মহাসড়কে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি দুই মাসেও। ব্যাহত হচ্ছে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ঢাকা-বগুড়া, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কমপক্ষে ৭০০ স্থানে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। বেশি নাশকতা ঘটেছে নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, রংপুর, লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, ঢাকা, বরিশাল, নীলফামারী ও সিলেটে। রাজধানী থেকে দেশের ৩৬১টির মধ্যে ২০০ রুটে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করছে। কিন্তু যাত্রী এখনো ৫০ শতাংশের নিচেই রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির হিসাবে, এক দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে ৩৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এযাবৎ এ খাতে ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, 'সরকার ১৪৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিককে চার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তবে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। কারণ নতুন কৌশলে নাশকতা শুরু হয়েছে। '
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, দফায় দফার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রেলস্টেশনসহ ৮০টি স্থানে ট্রেন ও রেলপথে নাশকতা চালানো হয়েছে। অবরোধের তৃতীয় দিন রাতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে জয়পুরহাট ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নাশকতা চালানো হয়েছিল। জয়পুরহাটে ৩৬ ফুট রেলপথ উপড়ে ফেলা হয়, কুলাউড়ায় খুলে নেওয়া হয় ফিশপ্লেট। পূর্ব ও পশ্চিম রেলে ফিশপ্লেট বা প্যান্ডরোল ক্লিপ তুলে ফেলা, ট্রেনে পেট্রলবোমা মারাসহ বিভিন্ন নাশকতায় ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে পড়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পর্যটনের এ মৌসুমে অবরোধের কারণে রেলে আয় কমেছে প্রায় চার কোটি টাকা। একই সময়ে অবরোধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের ক্ষতি হয়েছে এক কোটি টাকা। সংস্থাটির ৬০ শতাংশ গাড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে। নৌপথে নাশকতা চালানো হয়েছে ছয় দফা। গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি পালনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে বছরের শুরু থেকে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলে আবারও অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। ওই রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো নাশকতা।
গত ১৩ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে নাশকতায় প্রথমে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে। ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনে পেট্রলবোমায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের সাত যাত্রী প্রাণ হারায়। ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের তিনমাথায় ট্রাকে পেট্রলবোমায় তিনজনের প্রাণ যায়। ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী মহাসড়কে বাসে পেট্রলবোমায় ঘটনাস্থলে চারজন ও পরে তিনজন মারা যায়।
অবরোধে এযাবৎ এক হাজার ৯০০ গাড়িতে নাশকতা চালানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ফেনী, বগুড়া, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধায় ৫৮৯টি ঘটনায় ৬৪২টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
রাজধানীতে নাশকতা : পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের হিসাব মতে, অবরোধে রাজধানীতে প্রায় ২৫০ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় ৩৩০টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬০০ জনকে। পুলিশের তথ্যানুসারে, জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নাশকতা ঘটানো হচ্ছে বেশি। গত দুই মাসে মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত টঙ্গী ডাইভারশন রোডে ১১ গাড়িতে আগুন লাগানো হয়; রামপুরা-সবুজবাগ সড়কে ১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রামপুরার বনশ্রীতে আলিফ পরিবহনের বাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান বাপ্পী। গত রবিবার রাতে একই এলাকায় আলিফ পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই ছাত্রীসহ দগ্ধ হয়েছে চারজন। গত ২৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় বাসে আগুনে একজন নিহত এবং ২৯ জন দগ্ধ হয়। এ ছাড়া ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এবং যাত্রাবাড়ী-বিশ্বরোড এলাকায় ১৬টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায়। দুই মাসে এ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে ৫১ জন আহত হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে রাজধানীর নাশকতাপ্রবণ এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত রবিবার মৌচাকে দেশ টিভির গাড়িসহ তিনটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। |
ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে- দেশ টিভির গাড়ি পুড়িয়েছে শিবিরের ক্যাডাররা। কিছু এলাকায় নাশকতা চালাতে শিবির ঢাকার বাইরে থেকেও ক্যাডারর নিয়ে আসছে। আমরা নাশকতাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। '
ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, বার্ন ইউনিটে ১৬০ জন নাশকতায় দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসাধীন আছে ৫০ জন। তাদের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
অবরোধ-হরতালে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাসূচি ওলট-পালট হয়ে গেছে। বছরের প্রথম দিনেই চার কোটি ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা পুরোপুরি ক্লাস শুরু করতে পারেনি। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। এতে ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী হঠাৎ করেই বিপাকে পড়ে। একটি পরীক্ষাও নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হয়নি। হরতালের কারণে পরীক্ষা হয় শুধু শুক্র ও শনিবার। এ ছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েও সংশয়ে আছে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। পর্যটন মৌসুমে শুরু হয়েছে অবরোধ। এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের দেখা নেই। পর্যটক পরিবহনের গাড়ি ও আবাসিক হোটেল-খাবারদাবারের দোকানে বিরাজ করছে নীরবতা। মহাসড়কে পুরোপুরি গাড়ি চলাচল করছে না। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতও ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
১৪০০ মামলা, গ্রেপ্তার ১৫০০০ : পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার ঘটনায় ৫ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে এক হাজার ৪০০ মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থককে। সূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ সময় ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫