ঢাকা: সংসদ সদস্য ও বিএনএফ-এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে সাংবিধানিক মর্যাদা না দেওয়া রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। কারণ, এ দিনটির মাধ্যমে বাঙালি জাতি পেয়েছে একটি জাতীয় পতাকা, একটি জাতীয় সঙ্গীত আর একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় শিশুকল্যাণ পরিষদ ভবন মিলনায়তনে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান লীগ ও গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ’ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৭ মার্চকে জাতীয়ভাবে মূল্যায়ন করা না হলে বঙ্গবন্ধুকে অবমূল্যায়ন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে অবমূল্যায়ন করা হয়।
৭ মার্চকে ‘জাতীয় দিবস হিসেবে’ স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, একমাত্র সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে আমি প্রস্তাব রেখেছি। কিন্তু, এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বরিশাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্টে হত্যার নেপথ্যে মূল ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার হুমকির মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান। কারণ, তারা জানেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করতে না পারলে গণতান্ত্রিক উপায়ে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, আইনজীবী সমম্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দিন, কবি শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫