যশোর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ জেলা বিএনপির ছয় নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে শহরের ঘোপ, কারবালা রোড, ধর্মতলা ও উপশহর এলাকায় আধা ঘণ্টার ব্যবধানে এ ঘটনা ঘটে।
এতে বাড়ির কাঁচের জানালা ও ড্রয়িং রুমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ আরও কয়েক নেতার বাড়ি এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩০টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এর আগেও ২৮ জানুয়ারি রাতে একইসঙ্গে এসব নেতার বাড়িতে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) সকালে তরিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির ড্রয়িং রুমে বিস্ফোরিত বোমার জালের কাঠি, কাঁচ কুঁচি পাথর ছড়ানো ছিঁটানো রয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, রাতে হোলি খেলার বাজি ফুটেছে বলে শুনছিলাম। তবে খবর পেয়ে সকালে তরিকুল সাহেবের বাড়ি পরিদর্শনে পুলিশ পাঠানো হয়।
এদিকে, তরিকুল ইসলামের বাড়িতে বোমা হামলার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ প্রত্রিকার সাংবাদিক-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু বলেন, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার কারণে লোকসমাজ প্রকাশক তরিকুল ইসলাম ও তার ছেলে লোকসমাজের নির্বাহী সম্পাদক অনিদ্য ইসলাম অমিত পলাতক রয়েছেন। তবে পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বাড়িতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে পরপর পাঁচটি বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত না হলেও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তিনি লোকসমাজ পরিবারের সব সদস্যদের নিরাপত্তার দাবি জানান। এ সময় লোকসমাজে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীসহ সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫