রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান ঘর ও একটি বোর্ডিং পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অর্ধকোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
রোববার (৮ মার্চ) ভোর পাঁচটার দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় দৌলতদিয়া ঘাট সংলগ্ন টিনশেড দোতলা ঘর ও নিচতলায় এবং জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে সকাল সাতটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, দৌলতদিয়ার হোটেল ব্যবসায়ী মো. গাজী, জেনারেল স্টোর ব্যবসায়ী মো. কামাল, মো. নিজাম, বোডিং ব্যবসায়ী মো. শরিফুল, বহরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মো. মতিউর রহমান, ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী মো. শহিদুল আলম, জুতা ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, মো. লতিফ হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান, বিসিআইসি ডিলার সার ব্যবসায়ী চুন্নু মল্লিক, লাইব্রেরি ব্যবসায়ী চুন্নু মিয়া, সার ব্যবসায়ী তরুণ কান্তি সাহা, ফার্নিচার ব্যবসায়ী বক্কর শেখ, শহিদ দেওয়ান, আকতার হোসেন।
বহরপুরের বিসিআইসি ডিলার সাইফুজ্জামান চুন্নু জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় দৌলতদিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় টিনশেড দোতলায় আগুন লাগে। এ সময় গাজী স্টোর অ্যান্ড হোটেল, কামাল স্টোর, নিজাম স্টোর ও দ্বিতীয় তলায় শরিফুর বোর্ডিং পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে, সকাল সাতটার দিকে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে আগুর লেগে সার, কীটনাশক, লাইব্রেরি, ফার্নিচার ও ভাঙ্গারিসহ মোট ১০টি দোকান পুড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকার মালামাল ও সম্পদ পুড়ে গেছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে খবর পেয়ে দৌলতদিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি আরো বলেন, দৌলতদিয়ায় আগুন নিভানোর কাজ শেষ করতেই বালিয়াকান্দি থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত বহরপুর বাজারে পৌঁছে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হই।
পৃথক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি ছাড়াও আরো ২০ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫