ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মোট ঋণ ২২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে একক ঋণ ৫৪ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ও যৌথ ঋণ ১৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তার হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় ঋণের ধরনের বিবরণে একক ঋণ হিসেবে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংক এশিয়া থেকে ১৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া হাইডেল বার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিরেক্টর হিসেবে মিন্টু ৫ হাজার ৩৪৬ দশমিক ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে মিন্টুর একক ঋণ হলো ৫৪ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
এছাড়া যৌথ ঋণ হিসেবে তার ওপর নির্ভশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাধে ১৭ হাজার ৪৫৯ দশমিক ৩১ লাখ টাকা নিয়েছেন। অর্থাৎ মিন্টুর যৌথ ঋণের পরিমাণ ১৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে মিন্টুর একক ও যৌথ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজারে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে মিন্টুর যৌথ ঋণ রয়েছে, এগুলোর মধ্যে লাল তীর সিড লিমিটেড ৪টি ব্যাংক থেকে ৬ হাজার ২৬৮ দশমিক ৯৪ লাখ টাকা নিয়েছে। নর্থ সাউথ সিড লিমিটেড ২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা, লাল তীর লাইভস্টক লিমিটেড ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০০ লাখ টাকা, চেন্স ক্রপ সাইন্স বাংলাদেশ লিমিটেড ১টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৮০ দশমিক ৮৬ লাখ টাকা, মালিটিমোড ট্রান্সপোর্ট কন্সালটেন্টস লিমিটেড ১টি ব্যাংক থেকে ৪৪০ লাখ টাকা, এ অ্যান্ড এ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১টি ব্যাংক থেকে ৬১২ দশমিক ৬ লাখ টাকা নিয়েছে।
এছাড়া এন এফ এম লিমিটেড ১টি ব্যাংক থেকে ৩৬২ দশমিক ২ লাখ টাকা, এমএফ কনজ্যুমার লিমিটেড ১টি ব্যাংক থেকে ২ হাজার ২৮৮ দশমিক ৯ লাখ টাকা, জম্বু মালটিমোড ক্যমিক্যাল লিমিটেড ১ টি ব্যাংক থেকে ৪৮ দশমিক ৫৩ লাখ টাকা, প্রোটন সার্ভিস সেন্টার লিমিটেড ৮৯ দশমিক ৮২ লাখ টাকা, লাল তীর বীজ লিমিটেড ৫২১ দশমিক ৬২ লাখ টাকা নিয়েছে।
এদিকে যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড ৩২৫ দশমিক শূন্য তিন লাখ টাকা, মাল্টিসোর্সিং লিমিটেড ১৮ দশমিক ৯৭ লাখ টাকা ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এক হাজার ৭৫০ লাখ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫