ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে খালেদার রাজনৈতিক মৃত্যু নিশ্চিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫
জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে খালেদার রাজনৈতিক মৃত্যু নিশ্চিত নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান

ঢাকা: জ্বালাও, পোড়াও ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মৃত্যু নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় লাইভ সাপোর্টে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



বুধবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনে সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রতিনিধি সভায় আগামী ৫ এপ্রিল শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের গণপদযাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়। হরতাল অবোরোধের নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ জ্বালাও, পোড়াও এবং পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার এবং তার শাস্তির দাবিতে এ গণপদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়। নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে ওই দিন বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেষ হবে।

শাজাহান খান বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট মানুষ হত্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য ধংসসহ সহিংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ২০দলীয় জোটের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫০জন গাড়ি চালক, ২০ পুলিশ সদস্য, দুই বিজিবিসহ দেড় শতাধিক সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে।  

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময়ও তারা জ্বালাও-পোড়াও ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মোকাবেলা করেছে।

তিনি বলেন, সমন্বয় পরিষদের ‍অন্দোলন কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা বা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর উদ্দেশ্যে নয়। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষা করা, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ করা, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা, পরিবহনসহ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো সহ সমন্বয় পরিষদের সুনির্দিষ্ট ১২টি উদ্দেশ্য রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সমন্বয় পরিষেদের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তাদের উদ্দেশ্য করে বারবার বোমা হামলা করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। কিন্তু তারপরেও সমন্বয় পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করে সমন্বয় পরিষদই পারে দেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।