ঢাকা: রাজনৈতিক কার্যালয়ে টানা তিনটি মাস কাটিয়ে দিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ৯০ দিন আগে (৩ জানুয়ারি) থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। প্রতিদিন তার বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীরা এসে দেখা করে যাচ্ছেন, বাসা থেকে খাবারও আসছে। নিয়মিত চিকিৎসক এসে তাকে দেখে যাচ্ছেন।
তার সঙ্গীদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, খালেদার সহকারী শিমুল বিশ্বাস কিছুটা অসুস্থ রয়েছেন।
এছাড়া খালেদার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছেন।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে খালেদাকে গ্রেপ্তার ও তার কার্যালয় তল্লাশি হতে পারে- এমন খবরে গুলশানকেন্দ্রিক মনোযোগ সবার বেড়ে যায়। মার্চেও তার রেশ কিছুটা ছিল। তবে ইদানিং তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এই তিনটি মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্নরূপ নিয়েছে। টানা হরতাল ও অবরোধের প্রতি প্রথমদিকে যেমন ভীতি ছিল আমজনতার, তা কেটে গেছে। রাস্তায় নিত্য যানজট দেখা গেছে।
বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মন দিয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে না।
দুই সিটিতে নিজেদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা যাচাই করতে উদগ্রিব রয়েছে দলটি। তাই তাদের পরিকল্পনায় নানা পরিবর্তন ও আচরণে নমনীয়তা লক্ষ্য করছেন সচেতনরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৫