ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রায়ের কপিতে বিচারপতিদের দ্রুত সই প্রত্যাশা সুরঞ্জিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
রায়ের কপিতে বিচারপতিদের দ্রুত সই প্রত্যাশা সুরঞ্জিত স‍ুরঞ্জিত সেন গুপ্ত/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের কপিতে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা দ্রুত সই করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

 তিনি বলেন, আশা করি আজই সই হয়ে যাবে।



মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ১৪তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সুরঞ্জিত বলেন, রায়ের কপিতে এখনো সই না করার কোনো কারণ আমি দেখি না। বিচারপতিদের সই করার পর রায় কার্যকর করতেও আর কোনো বাধা থাকবে না।
এ সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীসহ নতুন করে সংবিধানের প্রিন্ট করার দাবি জানান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দ্রুত আমব্রেলা আইন কার্যকর করতেও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এছাড়া উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের বয়সের বৈষম্য কমিয়ে আনতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বয়স বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।    

তিনি বলেন, বর্তমানে উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে বিচারকদের বয়সের ক্ষেত্রে বড় বৈষম্য রয়েছে। অবিলম্বে এ বৈষম্য দূর করতে হবে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের বয়স ৬৭ বছর। অথচ নিন্ম আদালতের বিচারকদের বয়স মাত্র ৫৯ বছর।

এক্ষেত্রে সুরঞ্জিত বলেন, দুই আদালতের বিচারকদের বয়স সমান না হলেও অন্তত কয়েক বছর বাড়ানো উচিত।

উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে মামলা জট সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই আদালতে যে পরিমাণ মামলা জট রয়েছে এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরে ৫৮ লাখ মামলার জট দেখা দেবে বলেও মনে করেন তিনি।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দেশের আদালতগুলোতে ৩১ লাখ ২৫ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে প্রায় ২৮ লাখ মামলা এবং উচ্চ আদালত বিভাগে প্রায় তিন লাখ ২৫ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আরও তিন হাজার বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া সৎ, ন্যায় ও অভিজ্ঞ বিচারকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করারও সুপারিশ করে কমিটি।

চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা সম্পর্কে সভাপতি বলেন, আইনমন্ত্রীকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে যাতে আগামী এক মাসের মধ্যে এ মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। এ মামলায় চারশ’ ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে দুইশ’ ৪৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।   এখন শুধু  ‘ফরমাল’ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই মাসের মধ্যেই তা শেষ হবে। কিন্তু কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক মাসের মধ্যেই তা শেষ করা উচিত।

তিনি বলেন, বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত দেশের বিচারকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার তাগিদ দেয় কমিটি। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও এ প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের পরামর্শ দেয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,  কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুল মতিন খসরু, সাহারা খাতুন, শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস, অ্যাডভোকেট ড. মো. জিয়াউল হক মৃধা, সফুরা বেগম প্রমুখ।

এছাড়া বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন প্রণেতা ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এসএম/এসএন/এমএমকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।