শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাইজুল সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার গ্রুপের লোকজন। এতে তাইজুলসহ চারজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটালে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তাইজুল সরকার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইকবাল অপু গ্রুপের সমর্থক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হাওলাদার ক্লিনিক থেকে ১১টি হাতবোমা ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতটি রামদা ও একটি ঢাল উদ্ধার করেছে।
শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আলমগীর হোসেন হাওলাদারের চাচতো ভাইয়ের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে তাইজুল সমর্থক রকির তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে দুপুর একটার দিকে আলমগীর হাওলাদের সমর্থক আক্তার ঢালীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক তাইজুল সরকারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাইজুল সরকার এগিয়ে এলে তাকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
তাইজুলকে বাঁচাতে এ সময় তার বড় ভাই নয়ন সরকার ও সমর্থক শওকত সৈয়াল এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাইজুল সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ওরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে বোমা ফাটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ কোথা থেকে বোমা উদ্ধার করেছে তা পুলিশই জানে। আমার এখান থেকে কোন কিছু উদ্ধার হয়নি’।
শরীয়তপুর সদর সার্কেল এএসপি তানভীর হায়দার বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ সময় অভিযান চালিয়ে হাওলাদার ক্লিনিকের ভিতর থেকে বালতির মধ্যে রাখা ১১টি হাতবোমা ও বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
আরএ