ঢাকা: দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে দেশব্যাপী জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন চলছে।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) ভোর থেকে হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম দিন বিচ্ছিন্ন ঝটিকা মিছিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল জামায়াতের হরতাল। ওইদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।
মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার বাস গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার সকালেও দূরপাল্লার বাস কিছুটা কম চললেও ট্রেন লাইন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছগুলো সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এর আগে সোমবার রাতে দলের পক্ষে ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির মওলানা রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গল ও বুধবার হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হওয়াকে ‘ষড়যন্ত্র’বলে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সর্বাত্মক হরতাল সফল করতে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, ব্যাংক-বিমার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-ছাত্র, চাকরিজীবী, সাংস্কৃতিকর্মী, আইনজীবীসহ সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে জামায়াতের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিন শুরু হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
হরতালে নাশকতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোর থেকে বরাবরের মতোই রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সংসদ ভবন, সচিবালয়, আদালতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সারাদেশে মাঠে নেমেছে র্যাব, বিজিবি এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৫
জেএম