যশোর: তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে দম ফেলার কৌশল গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমায় নিহত নুরুজ্জামান পপলু ও তার মেয়ে মাইশার বাড়িতে পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে এসে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাপের যেমন খোলস বদলায় তেমনি, জঙ্গিনেত্রী খালেদা জিয়াও খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমায় মাইশা-পপলুর মতো যারা শহীদ হয়েছেন তারা জাতীর বীর সন্তান। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তবে এ ধরনের পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এসব জঙ্গি নেত্রী খালেদা জিয়ার উস্কানিতে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ফলে জঙ্গি নেত্রীসহ এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিচার করবে সরকার।
এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্য মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এখনও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইনি, তওবাও করেনি। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিবাদীরা তার আঁচলের তলে রয়েছে। তবে জঙ্গি নেত্রী খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চলন্তবাসে পেট্রোল বোমায় নিহত পপলু জীবিত থাকাকালীন তার মেয়ে মাইশাকে বাঁচানোর জন্য যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল তা অবিস্বরণীয় হয়ে থাকবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় সন্তান দিবস হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তিনি প্রস্তাবনা তুলবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় জাসদের কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরিনা আক্তার, কেন্দ্রীয় জাসদের সহ-সভাপতি ও যশোর জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, নিহত নুরুজ্জামান পপলুর বৃদ্ধ বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অশ্রুসিক্ত নয়নে নিহত পপলুর মা তথ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, আমার ছেলে-নাতিকে পুড়িয়ে তারা কি শান্তি পেলেন। এর উত্তরে জাসদের কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরানা আক্তার বলেন, এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে শেষ পর্যন্ত উনিও (খালেদা জিয়া) খালি হাতে বাড়ি ফিরলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
এসএইচ