ঢাকা: শুক্রবার (১০ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে তিন সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয় ৪৮ জনে।
শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
ইলিশ মাছ প্রতীকের জন্য আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তবে এই প্রতীক চেয়েছিলেন আরও ছয় জন প্রার্থী। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পছন্দের প্রতীক ছিল হাতি। একই প্রতীকের জন্য আরও ৬ জন মেয়র প্রার্থী আবেদন করে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘হাতি ও মাছ প্রতীকে পৃথক পৃথকভাবে ছয়জন আবেদন করেছেন। কিন্তু আমরা এই প্রতীক একজন প্রার্থীকে বরাদ্দ দিতে পারবো। তবে আপনারা সমঝোতার মাধ্যমে এই প্রতীক বরাদ্দ নিতে পারবেন। আপনারা সমঝোতা করুন কে হাতি ও মাছ মার্কা নেবেন। ’
এর পরে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয় সমঝোতা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনসহ, অা,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, ও সদস্য সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদ খোকন সমঝোতার সময় মাছ প্রতীক পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাছ প্রতীকের সঙ্গে আমার আবেগ জড়িত। আমার প্রয়াত পিতা এই মাছ প্রতীকে ঢাকার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই আপনারা যদি আমাকে মাছ প্রতীকটা ছেড়ে দেন তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো। ’
এর পর একে একে চার জন প্রার্থী মাছ মার্কা ছেড়ে অন্য মার্কার জন্য আবেদন করেন। তবে সবাই মাছ প্রতীক ছাড়লেও নাছোড়বান্দা ছিলেন আখতারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমি মাছ প্রতীক ছাড়া অন্য প্রতীক নেব না। দরকার হয় এর জন্য আমি লটারি করবো। ’
এর পরে সাঈদ খোকনের সমর্থকেরা আয়াতুল্লাহকে মাছ প্রতীক ছেড়ে দিতে বলেন, এতেও রাজি হননি আয়াতুল্লাহ। অনেকে আবার আয়াতুল্লাহর কাছে হাত জোড় করে বলেন, ‘আপনি সাঈদ ভাইকে মাছ প্রতীক ছেড়ে দিন। লটারি পর্যন্ত গড়াইয়েন না, এটা সাঈদ ভাইয়ের পিতা হানিফের প্রতীক। ’
এর আধা ঘণ্টা পরে আয়াতুল্লাহ মাছ প্রতীক সাঈদ খোকনকে ছেড়ে দেন। আয়াতুল্লাহ বলেন, সবাই হাত জোড় করে বলছে তাই মাছ প্রতীক ছেড়ে দিলাম। ’ এভাবে কোনো লটারি ছাড়াই মাছ প্রতীক পান খোকন।
তবে মির্জা আব্বাস পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ পেতে ব্যর্থ হন। তার পছন্দের প্রতীক ছিল হাতি। কিন্তু ছয় জন প্রার্থীই হাতির জন্য নাছোড়বান্দা। এর পর মির্জা আব্বাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া হাতির বদলে অতিরিক্ত প্রতীক হিসেবে মগের আবেদন করেন। এই প্রতীকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় মগ প্রতীক পান আব্বাস। এভাবে বরাদ্দের দিনই জয়ী হন খোকন ও হেরে যান আব্বাস।
পছন্দের প্রতীক নিয়ে মহানগর নাট্যমঞ্চ ত্যাগ করেন সাঈদ খোকন, অপরদিকে হাতির বদলে মগ নিয়ে চলে যান মির্জা আব্বাসের সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
এমআইএস/এমএম/আরআই
** ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক
** ইলিশ পেয়েছেন খোকন, আব্বাস মগ