ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী

শাহজাহান মোল্লা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৫
পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী ছবি : নাজমুল হাসান /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর রাজপথ থেকে অলি-গলিতে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। এসব পোস্টারে আছে বিভিন্ন স্লোগান, প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি।



মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পোস্টারই বেশি শোভা পাচ্ছে। মেয়র প্রার্থীরা গণসংযোগ, পথসভা, মতবিনিময়ে ব্যস্ত থাকলেও পোস্টার ও প্রচারণায় ব্যস্ত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব পোস্টার দেখা যায়। মিরপুর কালশী এলাকার প্রধান সড়কসহ আশপাশের সড়কে দেখা যায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রউফ (নান্নু) ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট প্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী পোস্টার ছাপিয়েছেন। এছাড়া একই এলাকায় মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু এবং চিতাবাঘ প্রতীক নিয়ে সামছুল আলম চৌধুরী।  

মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা নিয়ে গঠিত ১৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের পোস্টার ছাপিয়ে ভোট প্রত্যাশা করেছেন আব্দুস সোবহান এবং রেডিও প্রতীকের মোবাশ্বের হোসেন।

এই এলাকায় মেয়রপ্রার্থী বিকল্পধারা সমর্থিত মাহি বি চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হকের পোস্টারও দেখা যায়।

ভাটারা থানার ১৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় ইসহাক আলী মিয়াসহ একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর পোস্টারও চোখে পড়ে।

মোহাম্মদপুরে আদাবর এলাকা নিয়ে গঠিত ৩০ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এদের মধ্যে আলহাজ আবুল হাসেম ঠেলাগাড়ি, হাজী আবুল হাসেম (হাসু) মিষ্টি কুমড়া, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান (তুহিন) ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

নারী কাউন্সিলর পদে পিঞ্জর প্রতীকে আছেন-নাসরিন আক্তার (মাধবী), টিস্যুবক্স প্রতীকে রোজি জয়িতা এবং পানপাতা প্রতীকে হোসনে আরা (রুবি)
এসব প্রার্থীর মধ্যে কোনো কোনো প্রার্থী নির্বাচিত  হলে এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়ার অঙ্গীকার করছেন ।

পোস্টারের পাশাপাশি নানা নির্বাচনী বচনে মাইকিং করা হচ্ছে- ‘এলাকাবাসীর উন্নয়ন, আবুল হাসেম হাসু ভাইয়ে দুই নয়ন। এলাকাবাসীর মার্কা কী, মিষ্টি কুমড়া ছাড়া আছে কি?’  ইত্যাদি।

এসব প্রার্থীর মধ্যে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের নানা প্রতিশ্রুতির কথা জানা যায়।

হাজী আবুল হাসেম (হাসু) বাংলানিউজকে বলেন, আমার এলাকায় অনেক সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘ দিন নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় এলাকায় পানি, গ্যাস, ড্রেন, মশাসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার এসব সমাধানে প্রাধান্য দেবো।

জয়ী হওয়ার ব্যপারে এই কাউন্সিলর প্রার্থী শতভাগ আশাবাদী হয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে আমিই জিতব ইনশাল্লাহ।

১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়ার্ডে যে কয়জন দাঁড়িয়েছেন তাদের মধ্যে আমি সবার চেয়ে বেশি শিক্ষিত। আমি বিএসসি পাস। আমার যোগ্যতা অনেকের চেয়ে বেশি। তাই আশা করি এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে আমার প্রথমকাজ হবে এলাকা মাদকমুক্ত করে তরুণ সমাজকে সুপথে ফিরিয়ে আনা। এ জন্য খেলারমাঠ দখল মুক্ত করা হবে।

এ রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। তবে এই ক্ষেত্রে মেয়রপ্রার্থীরা একটু ভিন্ন।

তারা নির্বাচনী এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৫
এসএম/টিআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।