ঢাকা: কুমিল্লার যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। পরদিন পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ পায় স্বজনরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো গুম, খুন ও বিচাবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া; রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারও দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে।
তৌহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা এমন রক্তাক্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না, সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি। কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। কাউকেই বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার কোনো অধিকার সরকারি বাহিনীগুলোর নেই। আমি এ হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
বেআইনি হত্যা করে কখনোই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না। এতে আইনের শাসনকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় আদিম অন্ধকারের দিকে, বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর আহ্বান জানান। তিনি নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
টিএ/নিউজ ডেস্ক