ঢাকা: আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ব্যালট পেপারও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং তারপরের ৪৮ ঘণ্টা, অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল রোববার মধ্যরাত থেকে ৩০এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি, কোনো জনসভার আহ্বান, অনুষ্ঠান বা এতে যোগদান করতে পারবেননা। এছাড়া মিছিল, শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা এতে যোগদান করতে পারবেন না। ’
ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা রোববারের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে ভোটের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ব্যালট পেপার থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সকল উপকরণ পৌঁছে গেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। আগামী ২৭ এপ্রিল ভোটকেন্দ্রে ভোটের উপকরণ পাঠাবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসির বাজেট শাখা থেকে জানা গেছে, তিন সিটির জন্য ভোটার সংখ্যার তিনগুণ ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ১কোটি ৮১ লাখ ব্যালট ছাপিয়েছে ইসি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৩৬ টি ওয়ার্ডে ২৮১জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৮৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৬ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। তারা ১ হাজার ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এ নির্বাচনে ৮৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ডিএসসিসি নির্বাচনে ৩৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৯৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ২০ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এ সিটি নির্বাচনে ৭১৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬২ জন এবং মেয়র পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ২৮ এপ্রিল তিন সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫
ইইউডি/বিএস